নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা পৌর এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবিতে পৌরসভা ঘেরাও (বিছানা, বালিশসহ) প্রতিকী কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বেলা ১১টায় সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের আয়োজনে পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের বানভাসী মানুষ বিছানা বালিশসহ শত শত মানুষ তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে প্রতিবাদ র্যালি সহকারে পৌরসভার সামনে অবস্থান করেন।
বিষয়টি অবগত হয়ে পৌর কর্তৃপক্ষ দ্রুত গেটে তালা লাগিয়ে এসব বানভাসী মানুষকে পৌরসভার প্রবেশে বাধাগ্রস্থ করে বলেন বলে অভিযোগ করে তারা।
সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সুভাষ সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, সাংবাদিক কল্যাণ ব্যানার্জি, সহ-সভাপতি এড. ওসমান গনি, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুম, যুগ্ম সম্পাদক রওনক বাসার, সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুজ্জামান রাশি, সাংবাদিক মেহেদী আলী সুজয়, সায়েম ফেরদৌস মিতুল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, দপ্তর সম্পাদক এম. বেলাল হোসাইন, আইন সম্পাদক এড. সালাউদ্দীণ ইকবাল লোদী, প্রথম আলো বন্ধুসভার সভাপতি ও নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক জাহিদা জাহান মৌ, ৮নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি ডাঃ শফিকুল ইসলাম, ভূমিহীন নেতা শিহাব উদ্দীন প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, আমরা সাতক্ষীরা পৌরসভার বাসিন্দা। অথচ সামান্য বৃষ্টিতে আমাদের প্রতিবছর প্রায় ৬ মাস পানিতে ডুবে থাকতে হয়। শহরে পানি নিরসনের দায়িত্ব পৌরসভার মেয়র ও কাউন্সিলরদের। অথচ এ দূর্ভোগের সময় তারা একটি দিনও খোঁজ নিতে আসেনি। নিয়মনীতি না মেনে পৌর এলাকায় মৎস্যঘের করেছেন। যার ফলে অত্র এলাকার শত শত মানুষ জলাবদ্ধতার শিকার হচ্ছে। যারা অপরিকল্পিতভাবে মৎস্যঘের করছেন তাদের বিরুদ্ধে পৌর কর্তৃকপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন না। জলাবদ্ধতার কারণে পৌরবাসী দূষিত পানিতে, বিষাক্ত পোকা মাকড় ও সাপের সাথে বসবাস করতে হচ্ছে। আমাদের দাবি একটাই জরুরী ভিত্তিতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা চাই। সাতক্ষীরায় স্থায়ী জলাবদ্ধতায় সাতক্ষীরা পৌরসভা, জেলা প্রশাসন, পাউবো কেউ জলাবদ্ধতার দায় এড়াতে পারে না। সাতক্ষীরার প্রাণ প্রাণ সায়র খাল। সেটি খননের পর কেমন হবে এমন একটি নমুনা সাতক্ষীরাবাসীকে দেখানো হলেও তা বাস্তবে রূপ লাভ না করায় নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নেতৃবৃন্দ পৌর কর্তৃপক্ষকে হুশিয়ারী প্রদান করে বলেন, দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা না হলে আগামী বানভাসী মানুষ বিছানা বালিশসহ পৌরসভায় রাত্রি যাপন করবেন। যতক্ষণ জলাবদ্ধতা নিরসন না হবে ততক্ষন পৌরসভায় অবস্থান করনে।
পূর্ববর্তী পোস্ট