নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। এই দুই প্রধান শিক্ষক হলেন, খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষক নেতা মো: জাকির হোসেন ও গাংনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: ইকরামুল কবির। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখ অহিদুল আলম স্বাক্ষরিত জেঃপ্রাঃশিঃ/সাত/সাপ্র-গঃ/২০১৭/১৪৬৪ নং স্মারকে গত ৪ মে ২০১৭ তারিখে বিভাগীয় উপ-পরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা, খুলনা বিভাগ বরাবর প্রেরিত এক অফিসিয়াল চিঠিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, “এই দুই প্রধান শিক্ষক জালিয়াতি করে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের স্বাক্ষর জাল করে ও ভূয়া স্মারক ব্যবহার করে সদর উপজেলাধীন ঘোনা পশ্চিমপাড়া কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০/০৭/২০০৯ তারিখের পূর্বে ০২ জন ও তেতুলডাঙ্গা কমিউনিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩০/০৭/২০০৯ তারিখের পূর্বে ০৩ জন শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি কর্তৃক নিয়োগ দেয়া হয়েছে মর্মে তথ্য প্রেরণসহ কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করেছেন এবং ঐ ভূয়া শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে যোগদান করাতে বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি ও কর্মরত শিক্ষকদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছেন। বিদ্যালয় দুটির একটিতে মোঃ জাকির হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ শাহনাজ পারভীনকে এবং অন্যটিতে মোঃ ইকরামুল কবীর এর কন্যা মোছাঃ নাজনীন নাহারকে শিক্ষক হিসেবে দেখানো হয়েছে।”
পত্রে আরও উল্লেখ আছে, জাকির হোসেন ও একরামুল হকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের নিকট তৎকালীন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ আশরাফ হোসেন ৩০/০৮/২০১৫ শভফাপঔ ১৯২৫/২ নং স্মারকে কৈফিয়ত তলব করলে তারা উভয়ে ০৬//০৯/২০১৫ তারিখে দোষ স্বীকার করে জবাব দাখিল করেন।
যে কারণে তাদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ মোতাবেক বিভাগীয় মামলা রুজু করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সদর উপজেলার ঘোনা পশ্চিম পাড়া ও তেতুলডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটিতে শূন্য পদে গত ৩০ জুলাই ২০০৯ এর পূর্বে কোন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি এবং বিদ্যালয় ২টিতে যথাক্রমে ০২ জন ও ০১ জন শিক্ষক কর্মরত ছিলেন বলে তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। অথচ জাকির হোসেন ও একরামুল কবীর জালিয়াতির মাধ্যমে সেখানে নিজেদের স্ত্রী-কন্যাকে শিক্ষক হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট