আজ বৃহস্পতিবার (১১ মে) দিবাগত রাতে সারাদেশে পবিত্র শবে বরাত উদযাপিত হবে। শবে বরাত সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে পালিত হবে। গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশের আকাশে ১৪৩৮ হিজরি সনের শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে। ফলে ২৮ এপ্রিল শুক্রবার থেকে পবিত্র শাবান মাস গণনা শুরু হয়। সে হিসেবে ১৪ শাবান (১১ মে) দিবাগত রাতে লাইলাতুল বরাত পালিত হবে।
হিজরি সালের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাতটি বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শবে বরাত বা সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করেন। মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য এ রাতটি ‘লাইলাতুল বরাত’ অর্থাৎ সৌভাগ্যের রজনী।
বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমান মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ এবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়ে সারারাত অতিবাহিত করবেন।
মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে বিশ্বের মুসলমানরা বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া খায়ের করবেন।
পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, ‘ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়। শবেবরাতের এই পবিত্র রজনীতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উম্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের প্রার্থনা জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব মুসলমানকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সৌভাগ্যের এই রজনী মানবজাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এই রাতে তিনি ক্ষমা এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।’
শবে বরাতে সারা দেশের মসজিদগুলোতে রাতব্যাপী বিভিন্ন আয়োজন থাকবে। এসব আয়োজনের মধ্যে থাকবে কুরআন তিলাওয়াত, হামদ-না‘ত, ওয়াজ মাহফিল, মিলাদ, কিয়াম ও বিশেষ মুনাজাত।