এস,এম, আহম্মাদ উল্যাহ বাচ্ছু : কালিগঞ্জে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে পালিত হয়েছে মুসলমানদের সৌভাগ্যের রজনী পবিত্র শবেবরাত।
সারাবিশ্বের ন্যায় কালিগঞ্জের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ আদায়, কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিলসহ নানা এবাদত-বন্দেগীর মধ্য দিয়ে রাতটি অতিবাহিত করছেন।
মহিমান্বিত এ রজনীতে মুসলিম উম্মাহর সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে সারা বিশ্বের মুসলমানদের মতো কালিগঞ্জে ও বিশেষ মোনাজাত ও দোয়াখায়ের অনুষ্ঠিত হয়।
সৌভাগ্যের এ রজনীতে নারী-পুরুষ-শিশু-বৃদ্ধসহ সর্বস্তরের মুসলমানগণ কোরআন তেলাওয়াত, নফল নামাজ ও বিশেষ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহতায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য এবাদত-বন্দেগী পালন করেছন।
এ রজনী উপলক্ষে ধর্মপ্রাণ নারী-পুরুষেরা বৃহস্পতিবার নফল রোজাও পালন করেছেন। বাসাবাড়ি ছাড়াও মসজিদে মসজিদে রাতভর চলেছে নফল নামাজ, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, জিকির, ওয়াজ মাহফিল, অন্যান্য এবাদত-বন্দেগী ও বিশেষ মোনাজাত।
ধর্মপ্রাণ মুলমানদের বিশ্বাস, মহিমান্বিত এ রাতেই মহান আল্লাহতায়ালা মানুষের ভাগ্য অর্থাৎ তার নতুন বছরের ‘রিজিক’ নির্ধারণ করে থাকেন।
রাতব্যাপি এবাদত, বন্দেগী, জিকির ছাড়াও পবিত্র এ রাতে মৃত পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স্বজনসহ প্রিয়জনদের কবর জিয়ারত করেন। তাই এ রাতে কবরস্থানগুলোতে মুসল্লিদের ভীড় দেখা যায়।
মহিমান্বিত এ রজনী ভাবগম্ভীর পরিবেশের মধ্য দিয়ে পালনের লক্ষ্যে উপজেলা এলাকার মসজিদগুলোতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানসূচির মধ্যে ছিল ওয়াজ মাহফিল, কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিল, হামদ্, না’ত, নফল ও তাহাজ্জুদের নামাজ ও আখেরী মোনাজাত।
এ রাতের বিশেষ অনুষঙ্গ কবর জিয়ারতের পাশাপাশি মুসল্লিদের ব্যাপক উপস্থিতিতে মসজিদে মসজিদে এশার নামাজের পর থেকেই দফায় দফায় ওয়াজ মাহফিল, জিকির ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে বাদ ফজর দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর রহমত কামনায় মোনাজাতের মধ্য দিয়ে পবিত্র লাইলাতুল বরাতের সমাপ্তি হয়।