অনলাইন ডেস্ক : পারিবারিক ডিক্রি জারি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল না করায় সাতক্ষীরা সদর, তালা ও রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগনের বিরুদ্ধে কেন শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সেমর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সিনিয়র সহকারী জজ ও তালা পারিবারিক আদালতের বিচারক মো. ইমরান আহম্মেদ বৃহস্পতিবার ওই আদেশ দেন।
জানা গেছে, তালা, পারিবারিক আদাতের পারিবারিক ডিক্রি জারী মামলা নম্বর ০৬/২০১৭, ১৩/১৯, ১৫/১৯ এবং ০২/১৩ এ দেনদার/ বিবাদীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিলে বিলম্বের কারণ এবং তামিল করতে না পারার কারণ লিখিতভাবে আদালতকে জানানোর জন্য ওই সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদেরকে বিভিন্ন সময় নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে কোন প্রকার কারণ ব্যাখ্যাপূর্বক আদালতকে অবহীত করা হয় নাই, যা ক্রিমিনাল রুলস্ এ- অডারস (ভলিউম-১)-এর রুল-৬৫ এর সুস্পষ্ঠ লংঘন বলে আদালত আদেশে উল্লেখ করেন। আদালত আদেশে আরও বলেন, পুলিশ রেগুলেশনস, ১৯৪৩ এর ৩১৫ এবং ৩২৩ এর বিধান অনুসারে গ্রেফতারী পরোয়ানা তামিল করার ক্ষেত্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগনের আইনানুগ বাধ্যবাধকতা রয়েছে বিধায় উক্ত গ্রেপ্তারী পরোয়ানা তামিল না করা হলে বা আদালতকে অবগত করা না হলে তা স্পষ্টত আইন লংঘন। এছাড়া পারিবারিক মোকদ্দমার ডিক্রি জারীর ক্ষেত্রে উক্ত আদালতের বিচারক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে তাঁর এখতিয়ার প্রয়োগ করে থাকেন বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে। আদেশে আরও বলা হয়েছে, প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশ লংঘন করায় ১৮৬১ সালের পুলিশ আইন এর ২৯ ধারা অনুসারে কেন শাস্তিশূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে নির্দেশ দেয়া হল। আদেশের কপি জ্ঞাতার্থে ডি আই জি খুলনা, পুলিশ সুপার সাতক্ষীরাসহ সাতক্ষীরা সদর, তালা ও রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণকে প্রেরণ করা হয়েছে।