কালিগঞ্জ প্রতিনিধি : বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারী সমিতি (বাকাসস) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সাতক্ষীরা জেলা কালেক্টরেট শাখার নির্দেশনায় পদবী পরিবর্তন ও বেতনের গ্রেট উন্নত করণের দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মত পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করেছে কালিগঞ্জে কালেক্টরেট কর্মচারীবৃন্দ। রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের কালেক্টরেটবৃন্দ এই কর্মসূচি পালন করে। কর্মবিরতি পালন করায় ভোগান্তিতে পড়েন সরকারি অফিসে সেবা নিতে আসা দুর-দুরান্তের সাধারণ মানুষ। কর্মবিরতী চলাকালে সামাবেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের সিএ-কাম ইউডিএ ইনছার আলী বলেন, বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) অফিসে দায়িত্ব পালন করে থাকেন কালেক্টরেট সহকারিরা। দীর্ঘদিন যাবৎ তারা পদোন্নতি না পাওয়ায় কর্মস্পৃহা হারিয়ে ফেলেন। ২০০১ সাল থেকে তারা এই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। একই প্রশাসনের আওতাধীন রাজস্ব বিভাগে তহশীলদার ও সহকারি তহশীলদারদের পদ-পদবী পরিবর্তণসহ বেতন গ্রেড উন্নীত করা হয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, সমাজ সেবা, পুলিশ বিভাগ, পরিসংখ্যান, অডিট, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরসহ ২১টি বিভাগের বা অধিদপ্তরের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের পদবী ও গ্রেড পরিবর্তণ করে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ায় মাঠ প্রশাসনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারিদের পদ ও পদবী পরিবর্তণ অথবা সচিবালয়ের ন্যায় নিয়োগ বিধি প্রণয়নের যৌক্তিক ও ন্যয়সঙ্গত দাবি বাস্তবায়িত না হওয়ায় কর্মচারিদের মধ্যে চরম হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। এজন্য কর্মক্ষেত্রে কর্মস্পৃহা ফিরিয়ে আনতে কালেক্টরেট সহকারিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও সহকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তাপদে পদোন্নতি দেয়া সময়ের দাবি। বাংলাদেশ কালেক্টরেট সহকারি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির ঘোষিত দেশব্যাপি এ পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালিত করা হচ্ছে। এসময় অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক শফিকুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ের প্রধান সহকারী নজরুল ইসলাম, সার্টিফিকেট সহকারী শাহিনুর আলম, অফিস সহকারী প্রদীপ কুমার ঢালী প্রমুখ। আগামি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই কর্মবিরতি চলবে এবং ৫ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কর্মসুচিতে তারা অংশগ্রহন করবেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট