বিশেষ খবর : বাংলাদেশের স্বপ্নের পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। বিশ্বের অন্যতম জটিল নদী পদ্মার ওপর সেতু নির্মাণ প্রকৌশলগত দিক থেকেও এক বিরাট অর্জন। এই সেতু ইতিমধ্যে তিনটি বিশ্ব রেকর্ড গড়েছে।
প্রথমটি হলো পদ্মা সেতুর খুঁটির নিচে সর্বোচ্চ ১২২ মিটার গভীরে স্টিলের পাইল বসানো হয়েছে। এসব পাইল তিন মিটার ব্যাসার্ধের। বিশ্বে কোনো সেতুর জন্য এত গভীরে পাইলিং প্রয়োজন হয়নি। এ ছাড়া এত মোটা পাইল বসানো হয়নি বলেও জানিয়েছেন এর প্রকৌশলীরা।
এ সেতুতে ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিংয়ের’ সক্ষমতা হচ্ছে ১০ হাজার টন। এখন পর্যন্ত কোনো সেতুতে এমন সক্ষমতার বিয়ারিং লাগানো হয়নি। রিখটার স্কেলে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পে টিকে থাকার মতো করে পদ্মা সেতুর নির্মাণ। এটিও একটি বিশ্ব রেকর্ড।
সেতু নির্মাণে নদীশাসনে চীনের ঠিকাদার সিনোহাইড্রো করপোরেশনের সঙ্গে ১১০ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি হয়েছে। এর আগে নদীশাসনে এককভাবে এত বড় দরপত্র আর হয়নি। এটি তৃতীয় বিশ্ব রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া ১১টার দিকে সেতুর ১২ ও ১৩ নম্বর পিলারের ওপর ‘টু-এফ’ নামে ৪১তম স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে পদ্মার দুই পাড়ে সেতুবন্ধন তৈরি হয়। এতে সেতুর ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়েছে।
পদ্মা সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, বুধবার দুপুরে মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার কুমারভোগ কন্সট্রাকশন ইয়ার্ডে থেকে স্প্যানটি নিয়ে রওনা হয় ভাসমান ক্রেন তিয়ান-ই। ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে নির্ধারিত পিলারের কাছে পৌঁছায় ভাসমান ক্রেন।
পরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে স্প্যান বসানোর কার্যক্রম শুরু করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।