অনলাইন ডেস্ক : বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী, স্বাধীনতা ও বিজয় দিবস, জাতীয় শোক দিবস-সব অনুষ্ঠানেই ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রচারে প্রাধান্য হয়ে উঠেছে। কিন্তু রাজশাহীর তানোরে সরকারি আবদুল করিম সরকার কলেজে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ঘটেছে গুরুতর ভাষণ বিভ্রাট। বিজয় দিবসে বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাজাতে গিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাষণ বাজানো হয়েছে। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
কলেজের একাধিক শিক্ষক ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, সকালে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীরা কলেজ শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় কলেজের নিজস্ব সাউন্ড সিস্টেমে বাজতে শুরু করেন জিয়াউর রহমানের ভাষণ। বিষয়টি প্রথমে অধ্যক্ষ শিক্ষক কর্মচারীরা কেউই লক্ষ্য করেননি। তবে স্থানীয় গোল্লাপাড়া বাজারে অবস্থানকারী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা শুনতে পেয়ে কলেজে ছুটে গিয়ে ভাষণ বন্ধ করেন। পরে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ সংগ্রহ করে সেটি বাজানো শুরু হয়।
ভাষণ বিভ্রাট সম্পর্কে জানতে চাইলে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল আজিজ বলেন, মঙ্গলবার কলেজের পিয়ন আরিফ ও ফুলকুমারকে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ একটি মেমোরি কার্ডে তুলে আনতে স্থানীয় একটি মাইক সার্ভিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বঙ্গবন্ধুর ভাষণের বদলে জিয়াউর রহমানের ভাষণ দেওয়া হয়। এ সময় মেমোরি কার্ডে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ তোলা হয়েছে কিনা সেটা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি। বিজয় দিবসের কর্মসূচির শুরুতে ভাষণ বাজাতে গিয়ে এই বিভ্রাট ঘটেছে। এটি ইচ্ছাকৃত নয়- ভুলক্রমে ঘটেছে বলে অধ্যক্ষের দাবি।
এদিকে কলেজের কয়েকজন শিক্ষক-কর্মচারী জানান, কলেজের অধ্যক্ষ আগে তানোরের তালোন্দ ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি ছিলেন। ২০১৩ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। পরে তাকে উপাধ্যক্ষ করা হয়। কিছুদিন আগে তাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ বিষয়টিকে স্বাধীনতার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র মনে করে তদন্তের দাবি জানিয়েছে। এর সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করেছেন তারা।