এত দিন বিভিন্ন কারণে অভিযোগের আঙুল তোলা হচ্ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিভিন্ন কর্তাব্যক্তির দিকে। এবার বাদ পড়লেন না প্রেসিডেন্ট নিজেও। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভের কাছে ট্রাম্প নাকি জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) সংক্রান্ত বিভিন্ন স্পর্শকাতর তথ্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় হোয়াইট হাউসে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প ও ল্যাভরভ। সেখানেই ট্রাম্প ওই তথ্য ফাঁস করেন বলে জানানো হয়েছে সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের এক বন্ধু দেশ ওই তথ্যগুলো দিয়েছিল। তাই বলে সেগুলো রাশিয়ার কাছে ফাঁস করা যাবে, এমন কোনো অনুমতি দেয়নি তারা।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে তথ্য ফাঁসের বিষয়টি উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টার সাংবাদিকদের বলেন, ‘তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে যে কথা উঠেছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। প্রেসিডেন্ট ও রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বেসামরিক বিমান চলাচলসহ দুই দেশে বিদ্যমান হুমকি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।’
‘কখনোই আমাদের গোয়েন্দা কৌশলগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়নি। প্রেসিডেন্ট এমন কোনো সেনা অভিযান সম্পর্কে বলেননি, যেগুলো জনসাধারণের জন্য প্রকাশ করা হয়নি’, বলেন ম্যাকমাস্টার।
এর আগে মস্কোর সঙ্গে ট্রাম্পের দহরম-মহরম আছে বলে বারবার উল্লেখ করে আসছিল বিভিন্ন গণমাধ্যম। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাশিয়া নাকি বিভিন্নভাবে ট্রাম্পকে সাহায্য করেছিল। ডেমোক্রেট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও কয়েকজন নেতার ই-মেইল হ্যাকিংয়ের সঙ্গে রাশিয়ার যোগসাজশ থাকারও অভিযোগ ওঠে।
এসব অভিযোগ তোলার কারণে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের ওপর বেশ ক্ষেপে যান ট্রাম্প। খবরগুলোকে ভুয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি।