বিদেশের খবর : কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটাল হিলে ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের টালমাটাল রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক অবস্থান নিয়েছে সে দেশর সশস্ত্র বাহিনী। তদন্ত সংস্থা এফবিআই নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শপথের আগে আরও হামলার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে। আর মঙ্গলবার মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের দেওয়া এক নজিরবিহীন যুক্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশের সেনা সর্বতভাবে সংবিধান রক্ষায় প্রস্তুত।
গত কয়েক দশক তো বটেই, দূর অতীতেও এমন ভূমিকায় দেখা যায়নি মার্কিন বাহিনীকে। বার্তা প্রকাশের পর চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী রাজনীতি এড়িয়ে চললেও গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে ক্যাপিটল ভবনে হামলার সাথে বেশ ক’জন সাবেক এবং কর্মরত সেনা সদস্য জড়িত থাকার অভিযোগ উঠতে থাকায় সেনা নেতৃত্ব স্পষ্টতই উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, ডেমোক্র্যাটদের কাছ থেকে পেন্টাগনের ওপর চাপও তৈরি হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, এমন পরিস্থিতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্থল, নৌ এবং বিমান বাহিনিসহ মার্কিন সেনাবাহিনীর সব শাখার শীর্ষ কম্যান্ডাররা যৌথভাবে সব সেনা সদস্যদের প্রতি এক বার্তা পাঠিয়েছেন। যৌথ বাহিনির চেয়ারম্যান জেনারেল মার্ক মিলি-সহ সাতজন শীর্ষ জেনারেল এবং একজন অ্যাডমিরালের সই করা এই বার্তা সেনার উদ্দেশ্যে দেওয়া হলেও মার্কিন সংবাদ মাধ্যম তা প্রকাশ করেছে।
বার্তায় আরও বলা হয়, ‘ওয়াশিংটন ডিসিতে ৬ জানুয়ারির সহিংস দাঙ্গা যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেস, ক্যাপিটল ভবন এবং আমাদের সাংবিধানিক প্রক্রিয়ার ওপর সরাসরি হামলা। মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং জমায়েতের অধিকার কাউকে সহিংসতা, দেশদ্রোহিতা এবং বিদ্রোহের অধিকার দেয় না। সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টির কোনো চেষ্টা আমাদের (সেনাবাহিনীর) মূল্যবোধ, রীতি এবং শপথের খেলাপ, এবং বেআইনি।’
কম্যান্ডাররা সৈনিকদের বলেছেন, ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেবেন জো বাইডেন এবং তিনি সেনাবাহিনীর নতুন কম্যান্ডার-ইন-চিফ হবেন।
আগামী ২০ জানুয়ারি নতুন প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণের আগেই ফের ট্রাম্প ভক্তরা হামলা চালাতে মরিয়া। তারা বিভিন্ন আদালতের দখল নিতে গোপনে বার্তা দিয়েছে। যে কোনও রকম পরিস্থিতি এড়াতে গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই জারি করেছে বিশেষ সতর্কবার্তা। এমন প্রেক্ষাপটেই এসেছে মার্কিন সেনাবাহিনীর যৌথ কমান্ডের বিবৃতি।
এই বিবৃতির পরই ফের আন্তর্জাতিক মহল সরগরম। জানা গেছে, ক্ষমতায় বসতে চলা ডেমোক্র্যাটরা বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে ক্ষমতা শেষের আগেই অভিশংসন করতে মরিয়া। এরই মধ্যে মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদে ট্রাম্পের অভিশংসন প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এখন তা চূড়ান্ত রূপ পেতে সিনেটে ভোটাভুটিতে যাবে।