দেবহাটা ব্যুরো: দেবহাটার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে নেতাকর্মী ও সাধারণ ভোটারদের সাথে ব্যস্ত সময় পার করছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহামুদুল হক লাভলু বিশ্বাস। সকাল থেকে গভীর রাত্র পর্যন্ত ইউনিয়নের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ভোটারদের আস্থা অর্জন ও তাদের খোঁজ খবর নিতে তাদের সাথে মতবিনিময় করে চলেছেন তিনি। আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মাহমুদুল হক লাভলু দেবহাটার উপজেলার নওয়াপাড়া ইউনিয়নের নাংলা গ্রামের সম্ভ্রান্ত পরিবারের মরহুম এমদাদুল হক বিশ্বাস ও রিজিয়া খাতুনের ছেলে। তিনি বি,এ পাশ করে জনসেবা ও মৎস্য উৎপাদনে মনোনিবেশ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শ্রেষ্ট চিংড়ি উৎপাদনকারী হিসাবে জাতীয় স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চাষী পুরস্কারে ভূষিত হন। তার পিতা মরহুম এমদাদুল হক বিশ্বাস ইউপি সদস্য ছিলেন। তার বড় চাচা মরহুম আঃ জলিল বিশ্বাস দীর্ঘ ১৫ বছর যাবৎ নওয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে সুনামের সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। সে কারনে পারিবরিক সূত্র ধরে জনসেবায় মনোনিবেশ করেন। ছাত্র জীবনে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছাত্রলীগের নেতৃত্ব পর্যায় অবস্থান ছিল লাভলু বিশ্বাসের। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজে অধ্যয়নকালে ছাত্র সংসদে ছাত্রলীগের নির্বাচনের প্রার্থী ছিলেন তিনি। সাতক্ষীরা সরকারি কলেজ হোস্টেলের ছাত্রলীগের নির্বাচিত প্রিফেক্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। খুলনা সিটি কলেজের ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এছাড়া দেবহাটা উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ছিলেন তিনি। পর্যায়ক্রমে দেবহাটা উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক এবং বর্তমানে নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। পাশাপাশি নওয়াপাড়া আলিম মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, নওয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, দীর্ঘদিন যাবৎ নাংলা আহছানিয়া মিশনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
এবিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যশী নওয়াপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহামুদুল হক লাভলু বিশ্বাস জানান, আমি ছাত্র জীবন থেকে আওয়ামী লীগ করছি। দলের দূর্দিনে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে মাঠে আওয়ামী লীগের রাজনীতি সক্রিয় করে রেখেছি। শেখ হাসিনা আমাকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দেবেন বলে আমি আশা করি। আমার যোগ্যতা ও পরিবারের অভিজ্ঞতার আলোকে আমি মনোনয়ন পেলে নির্বাচনে জয় হয়ে নওয়াপাড়া ইউনিয়নের সাধারণ মানুষের সুখে, দুঃখে কাজ করব। এলাকার রাস্তাঘাট, সূপেয় পানির ব্যবস্থা ও মাদকমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে আমরণ কাজ করে যাব। তাই আমি সকলের দোয়া ও সমার্থন কামনা করি।
পূর্ববর্তী পোস্ট