অনলাইন ডেস্ক : সুনামগঞ্জের শাল্লায় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় প্রধান আসামি ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়ার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছেন পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তা। এছাড়া অন্য ২৯ জন আসামির পাঁচদিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।
রোববার (২১ মার্চ) বিকেলে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই মামলার আসামিদের রিমান্ড আবেদন করা হয়। তবে রিমান্ড শুনানির তারিখ নির্ধারণ হয়নি। তাই শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াসহ ৩০ জন আসামিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. সেলিম নেওয়াজ।
এর আগে ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীন মিয়াকে শুক্রবার (১৯ মার্চ) রাতে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
শনিবার (২০ মার্চ) বেলা ১১টায় স্বাধীন মিয়াকে শাল্লা থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে পিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে পুলিশ রোববার দুপুরে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেন।
এদিকে শনিবার ভোরে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ মামলার এ নিয়ে মোট ৩৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
উল্লেখ্য, বুধবার (১৭ মার্চ) হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হককে নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের ৮৭টি সংখ্যালঘু বাড়িতে হামলা চালানো হয়। এসব বাড়ি থেকে টাকা, স্বর্ণালঙ্কার লুট হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাতে হবিবপুর ইউপি চেয়ারম্যান বিবেকানন্দ মজুমদার বকুল প্রথম মামলাটি করেন। এতে প্রধান আসামি করা হয় দিরাইয়ের তাড়ল ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম স্বাধীনকে।