অনলাইন ডেস্ক : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) পর্যন্ত থানায় ৭টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৫টি ও আশুগঞ্জ থানায় পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় অজ্ঞাত আট হাজারেরও বেশি ব্যক্তিকে আসামি করা হলেও নেই কোনো হেফাজত নেতাকর্মীর নাম।
দায়েরকৃত সাতটি মামলার মধ্যে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেন। মামলা দু’টিতে অজ্ঞাতনামা চার থেকে পাঁচ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে।
আনসার-ভিডিপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় আনসারের সার্কেল অ্যাডজুটেন্ট শাহাদাত হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ লোককে আসামি করা হয়েছে।
ইউনির্ভাসিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলার ঘটনায় ইউনির্ভাসিটির রেজিস্ট্রার খন্দকার এহসান হাবিব বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা ২০০/৩০০ লোককে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া পৌর এলাকার পশ্চিম মেড্ডা পীরবাড়ি এলাকায় পুলিশের সঙ্গে হেফাজত কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের এসআই মোসলেম উদ্দিন বাদী হয়ে পৃথক একটি মামলা করেছেন। মামলায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ১০০০/১৫০০ লোককে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া আশুগঞ্জ টোলপ্লাজায় হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় আশুগঞ্জ হাইয়ের সার্জেন্ট জহিরুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ লোকের বিরুদ্ধে একটি এবং আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়নাল আবেদীন অজ্ঞাতনামা ৪০০/৫০০ লোকের বিরুদ্ধে অপর মামলাটি দায়ের করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় এ পর্যন্ত সদর থানায় পাঁচটি মামলা হয়েছে। আরো মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ পর্যন্ত ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মামলায় হেফাজতে ইসলামের কারো নাম না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, হেফাজতের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব কমিটির নামের তালিকা আমাদের কাছে আছে। আমরা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করছি। এগুলো পর্যবেক্ষণ করে নিশ্চিত হয়ে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবো।
ওসি আরো বলেন, এ ঘটনায় অনেকে অন্যান্য এলাকা থেকে বা অনেক দূরের এলাকা থেকে এসে হামলায় অংশ নিয়েছেন। যেহেতু আমরা কাউকে চিনি না, তাই আমরা কারো নাম না দিয়েই মামলার অভিযোগ লিখেছি। আমরা নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করবো বা পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।
আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাবেদ মাহমুদ জানান, আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজা এবং সংলগ্ন পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় টোল প্লাজা কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ বাদী হয়ে পৃথক দু’টি মামলা করেছে। দুই মামলায় প্রায় এ হাজার ২০০ অজ্ঞাত লোককে আসামি করা হয়েছে।