আসাদুজ্জামান : ৭ কোটি ১০ লাখ টাকার একটি দূর্নীতি মামলায় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন অফিসের স্টোরকিপার ফজলুল হককে গ্রেফতার করেছে দুদক। রোববার সকালে সিভিল সার্জন অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক মহাতাব উদ্দীন বাদি হয়ে স্টোর কিপার ফজলুল হক ও তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ সালেহ আহমেদের বিরুদ্ধে এ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৪ জুলাই সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণালয়, হাসপাতাল-২ অধিশাখা বাংলাদেশ সচিবালয় থেকে ৪৫.০৫৫.০৫৬.০০.০০.০১২.২০১৩-৫৪৯ নং স্মারকে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪৫ টাকার ক্রয়কৃত এমএসআর মালামাল সামগ্রী সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালসহ সকল উপজেলা হাসপাতাল গুলোতে বিতরন করার জন্য পাঠানো হয়। পরবর্তীতে সিভিল সার্জন অফিস ইনডেন্ট নং-৩, তারিখ-০৪.০৮.১৪ অনুযায়ী এমএসআর মালামালগুলো সংগ্রহের জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে ইনডেন্ট প্রদান করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে অধ্যক্ষ সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উক্ত মালামাল গুলো ১৮.০৮.১৪ তারিখে সরবারহ করেন এবং তৎকালীন মেডিকেলে স্টোর কিপারের দায়িত্বেরত স্টোরকিপার ফজলুল হক ইন্ডেন্টে স্বাক্ষর করে মালামালগুলো বুঝে নেন।
এরপর নতুন সিভিল সার্জন উৎপল কুমার দেবনাথ সাতক্ষীরায় যোগদানের পর উক্ত মালামাল সংক্রান্ত ব্যাপারে ২১.০৩.২০১৬ তারিখে ৫৬৮ নং স্মারকে তিন সদস্য বিশিস্ট্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সদর হাসপাতালসহ উপজেলা হাসাপাতালগুলোতে তদন্ত কমিটি খোঁজ নিয়ে দেখেন এ মালামালগুলো কোথাও সরবরাহ না করে স্টোরকিপার ফজলুল হক ও তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ সালেহ আহমেদ সেগুলো আতœসাৎ করেছেন। এক পর্যায়ে তারা অভিযোগ করেন স্টোর কিপার ফজলুল হক স্টকরেজিস্টারসহ অন্যান্য তথ্যাদি গোপন করে ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৬৪৫ টাকার মধ্যে ৭ কোটি ১০ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪৫ টাকার মালামাল সামগ্রী আতœসাৎ করেছেন। যা দন্ডবিধি ৪০৯ ও ১০৯ ধারাসহ ১৯৪৭ সালের দূনর্িিত প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এরই প্রেক্ষিতে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় খুলনার সহকারী পরিচালক মহাতাব উদ্দীন বাদী হয়ে রোববার সকালে উপরোক্ত ধারায় স্টোর কিপার ফজলুল হক ও তৎকালীন সিভিল সার্জন ডাঃ সালেহ আহমেদের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অতঃপর স্টোর কিপার ফজূল হককে সকালে গ্রেফতার করেন।
পূর্ববর্তী পোস্ট