প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার আশাশুনিতে সম্পূর্ন অগঠনতান্ত্রিকভাবে বিএনপি ও নাশকতা মামলার আসামীদের দিয়ে সদ্য গঠিত খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অবৈধ কমিটি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় আ’লীগ নেতারা। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান খালিয়া গ্রামের মৃত বানিকান্ত মন্ডলের ছেলে আ’লীগ নেতা মিলন কান্তি মন্ডল। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত প্রায় ২৫ বছর ধরে অত্যান্ত সুনামের সাথে আশাশুনি উপজেলার খাজরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছি। খাজরা ইউনিয়ন আ’লীগের পূর্নাঙ্গ কমিটি এখনো বহাল রয়েছে। কিন্তু আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে ইউনিয়ন আ’লীগকে বির্তকিত করতে খুলনার বিএনপি কর্মী অহিদুল ইসলাম ভোল পাল্টে আ’লীগ নেতা হওয়ার জন্য চক্রান্ত শুরু করে। এক পর্যায় মোটা অংকের অর্থের বিনিময় আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে ম্যানেজ করে গত ১ মার্চ খাজরা ইউনিয়ন আ’লীগের একটি কমিটি অনুমোদন নিয়েছেন। যা সম্পূর্ন অগঠনতান্ত্রিক ও অবৈধ। কারন উপজেলা কমিটিই এখনো পূর্নাঙ্গ হয়নি। কেন্দ্রের নির্দেশনা না থাকলেও আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের অপূর্নাঙ্গ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একটি মনগড়া কমিটির অনুমোদন দিয়েছে। মহামারি করোন কালিন সময়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও তারা কিভাবে এই কমিটি অনুমোদন দিলেন তা আমার বোধগম্য নয়। মিলন কান্তি মন্ডল অভিযোগ করে বলেন, তাদের মনগড়া কমিটির ৬৯ জন সদস্যের মধ্যে ২০-২৫ জন নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনিসহ ওয়ার্ড আ’লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক অনেকেই এই কমিটির বিষয় অবগত নন। এমনকি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন আ’লীগের কোন সম্মেলনও হয়নি। অবৈধ এই কমিটির সভাপতি অহিদুল ইসলাম ৩০/৩৫ বছর ধরে খুলনায় বসবাস করেন। বিএনপি’র রাজনীতির সাথে জড়িত থাকার পরও শুধুমাত্র টাকার বিনিময় নিজেকে সভাপতি করে কমিটি নিয়েছেন বলে প্রতিয়মান হয়। এমন অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি দেয়ায় বাংলাদেশ আ’লীগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে বলে আমি মনে করি। শুধুমাত্র খাজরা নয় আনুলিয়া ও প্রতাপনগরসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগের নেতৃবৃন্দও এসব অবৈধ কমিটি সর্ম্পকে অবগত নন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তিনি আরো বলেন, আমরা এই অবৈধ কমিটির বিরুদ্ধে জেলা আ’লীগের সম্পাদক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছেও অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। তিনি অগঠনতান্ত্রিক ভাবে দেয়া এই কমিটি বাতিল করে সম্মেলনের মাধ্যমে ত্যাগি ও প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়ে কমিটি গঠনে সাতক্ষীরা জেলা আ’লীগসহ কেন্দ্রীয় আ’লীগের উর্দ্ধতন নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে আশাশুনি উপজেলা আ’লীগের সভাপতি এবিএম মোস্তাকিম বলেন, নিয়ম মেনে সম্পূর্ন গঠনতান্ত্রিকভাবেই খাজরা ইউনিয়ন আ’লীগের কমিটি অনুমোদন দেয়া হয়েছে। যারা দলীয় কর্মকান্ডে নিষ্ক্রিয় ছিল তাদেরকে বাদ দিয়ে ত্যাগি ও প্রকৃত নেতাকর্মীদের দিয়েই কমিটি গঠন করা হয়েছে। তবে কমিটি প্রদানে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।