ইউরোপের সেরা পাঁচটি লিগের সবই প্রায় শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে ঘরোয়া শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে রিয়াল, চেলসি, জুভেন্টাস, মোনাকো ও বায়ার্ন মিউনিখ।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে বেশ কয়েক ম্যাচ বাকি থাকতেই শিরোপা নিশ্চিত করে চেলসি। একই অবস্থা ছিল জার্মান বুন্দেসলিগায়। শেষ ম্যাচে শিরোপা নির্ধারণ হয় স্প্যানিশ লিগে। এক ম্যাচ করে বাকি থাকতে শিরোপা জেতে মোনাকো ও জুভরা।
ইউরোপের শীর্ষ লিগগুলোতে অনেক স্ট্রাইকার নিজ নিজ লিগে সর্বোচ্চ গোল স্কোরার হিসেবে মৌসুম শেষ করেছেন। কিন্তু মজার ব্যাপার হল- তাদের কেউই দলকে শিরোপা জেতাতে পারেননি। দেখে নেয়া যাক, ইউরোপের পাঁচ লিগে টপ গোল স্কোরার কারা।
স্প্যানিশ লিগে শীর্ষ গোলদাতা লিওনেল মেসি। ৩৪ ম্যাচে ৩৭টি গোল করেছেন বার্সেলোনার এমএল টেন। কিন্তু দলকে শিরোপা জেতাতে পারেননি। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সুয়ারেজের ৩৫ ম্যাচে ২৯ গোল। রিয়াল তারকা রোনালদো ২৯ ম্যাচে ২৫ গোল করে তৃতীয় স্থানে আছেন। সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন সেল্টা ভিগোর ইয়াগো আসপাস (৩২ ম্যাচে ১৯), অ্যান্তনিও গ্রিজম্যান (৩৬ ম্যাচে ১৬)।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে মেসির মত অবস্থা টটেহ্যামের স্ট্রাইকার হ্যারি কেনের। ৩০ ম্যাচে ২৯ গোল করেছেন ইংলিশ স্ট্রাইকার। তার দল লিগ শেষ করেছে দ্বিতীয় স্থানে থেকে। হ্যারির পরের জায়গাটি রোমেলু লুকাকুর। ৩৭ ম্যাচে ২৫ গোল করেছেন এভারটনের বেলজিয়ান তারকা। ৩৮ ম্যাচে ২৪ গোল করে তৃতীয় স্থানে আছেন আর্সেনালের অ্যালেক্সিস সানচেজ। চিলিয়ান তারকার দুরন্ত পারফরমেন্সের পরও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি গানাররা। আর্সেন ওয়েঙ্গার দল লিগ শেষ করেছে পাঁচে থেকে। ৩৫ ম্যাচে ২০ গোল করে শিরোপা জেতা চেলসির স্প্যানিশ স্ট্রাইকার ডিয়েগো কস্তা আছেন চারে। আর পাঁচে আছেন লিগ টেবিলের তিনে থেকে শেষ করা ম্যানচেস্টার সিটির আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড সার্জিও আগুয়েরো।
বুন্দেসলিগায় শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় একনম্বর জন লিগের তিন নম্বর দল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের স্ট্রাইকার পিয়ের-ইমেরিক ওবামেয়াং। ৩২ ম্যাচে ৩১ গোল করেছেন গ্যাবন তারকা। ৩৩ ম্যাচে ৩০ গোল করে দ্বিতীয় স্থানে আছেন লিগ জয়ী বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ স্ট্রাইকার রবার্ট লেভানডোভস্কি। তিন আছেন ক্লোনের অ্যান্থনি মডেস্ট। ৩৪ ম্যাচে ২৫ গোল ফরাসি তারকার। ৩১ ম্যাচে ২১ গোল করে চারে লেইপজিগের জার্মান ফরোয়ার্ড টিমো ওয়েনার। পাঁচে আছেন ভল্ফবুর্গের জার্মান তারকা মারিও গোমেজ।
ইতালির সিরি আ’তে শীর্ষে আছেন এএস রোমার এডিন জেকো। লিগে এক ম্যাচ বাকি থাকতে ৩৬ ম্যাচে ২৮ গোল বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনিয়া স্ট্রাইকারের। তার দল লিগ শেষ করেছে দুই নম্বরে থেকে। দ্বিতীয় স্থানে আছেন নাপোলির ডেরিস মার্টিনেজ। ৩৪ ম্যাচে ২৭ গোলে বেলজিয়ান তারকার। নাপোলি তালিকার তিন নম্বরে আছে। এরপরই আছেন আন্দ্রে বেলোত্তি। তোরিনোর স্বদেশী স্ট্রাইকার ৩৪ ম্যাচে করেছেন ২৫ গোল। তোরিনো লিগ শেষ করেছে ৯ নম্বরে থেকে।
চ্যাম্পিয়ন জুভেন্টাসের গঞ্জালো হিগুয়েন আছেন চারে। ৩৭ ম্যাচে ২৪ গোল আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের। পাঁচে রয়েছেন ইন্টার মিলানের আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মাউরো ইকার্ডি। ৩৪ ম্যাচে ২৪ গোল তার।
ফরাসি লিগ ওয়ানে টপ স্কোরার পিএসজির এডিনসন কাভানি। ৩৬ ম্যাচে ৩৫ গোল উরুগুয়ে তারকার। দ্বিতীয় অলিম্পিক লিওনিসের ফরাসি স্ট্রাইকার আলেকজান্ডার ল্যাকজেট। ৩০ ম্যাচে ২৮ গোল তার। তিনে আছেন চ্যাম্পিয়ন মোনাকোর রাদামেল ফ্যালকাও। ২৯ ম্যাচে ২১ গোল কলম্বিয়ান তারকার। চারে অলিম্পিক মার্শেইয়ের বাফেটিমি গোমেজ। স্বদেশী গোমেজের গোল ৩১ ম্যাচে ২০টি। ৩৮ ম্যাচে ১৫ গোল নিয়ে পাঁচে আছেন গোমেজের সতীর্থ ফ্লোরিয়ান থাউভিন।