আলু, শশা, টম্যাটো এই তিনটি খাবারের সাথে সবাই পরিচিত। আলু প্রায় সব তরকারির সাথে রান্না করে খান। শশা, টোম্যাটো খাবারের সাথে থাকতেই হবে মুখের রুচি বারানোর জন্য। কারণ এই তিনটেই অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। প্রতি দিনের প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট, ভিটামিনের যেমন অন্যতম উত্স আলু, তেমনই প্রচুর ভিটামিন এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর শশা, টম্যাটো। বিশেষ করে গরমকালে বেশি করে স্যালাড খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন বিশেষজ্ঞরা। তবে খুব বেশি এগুলো খাওয়াও কিন্তু ঘটাতে পারে হিতে বিপরীত ফল।
নতুন এক গবেষণার ফল বলছে- আলু, শশা, টম্যাটোর মধ্যে থাকে এমন এক প্রোটিন যা বাড়িয়ে দেয় অ্যালঝাইমার’স-এর ঝুঁকি। ক্যালিফোর্নিয়ার কার্ডিওলজিস্ট ও হার্ট সার্জন স্টিভেন গন্ড্রি জানাচ্ছেন- শশা, টম্যাটো, গোটা শস্য, সয়, ক্যাপসিকাম, আলু, কল বেরনো ছোলা ও ডেয়ারি প্রডাক্টে থাকা লেকটিন নামক প্রোটিন আমাদের স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে দিতে পারে। একই মত ইংল্যান্ডের চিকিত্সক টম গ্রিনফিল্ডেরও। রক্তের বিভিন্ন গ্রুপের উপর তিনি লেকটিনের প্রভাব পরীক্ষা করেন। ফলাফলে জানিয়েছেন, শরীর লেকটিনের পরিমাণ অতিরিক্ত হয়ে গেলে তা ব্রেন ডিজঅর্ডারেরও কারণ হয়ে উঠতে পারে।
গ্রিনফিল্ড জানান, এই লেকটিন ঠিক কতটা প্রভাব ফেলবে, মস্তিষ্ক কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হবে তা নির্ভর করে জিনের উপর। রক্তের গ্রুপ অনুযায়ী লেকটিনের প্রভাবও বদলে যায়। রক্তের ইনসুলিন রিসেপটর ব্লক করে রক্তনালীর উপর প্রভাব ফেলতে পারে, মস্তিষ্কও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে লেকটিন ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া সম্ভব নয়। প্রথমত, এই সব খাবার অত্যন্ত পুষ্টিকর, এবং দ্বিতীয়ত, জিনের গঠন অনুযায়ী এর মধ্যে কোনও খাবার কারও জন্য ভাল, সেই খাবারই আবার অন্যের জন্য ভিলেন হয়ে উঠতে পারে।
অন্য এক গবেষক ডেভিড জকারস আবার জানাচ্ছেন, লেকটিন শরীরে প্রয়োজনীয় উপাদানের শোষণে বাধা দিতে পারে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে নানা রকম শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে।