নিজস্ব প্রতিনিধি:
সীমান্ত জেলা সাতক্ষীরায় লকডাউনের চতুর্থ দিনেও করোনা সংক্রমণের হার আরও উর্দ্ধগতি হয়েছে। সর্বশেষ ফলাফলে ১৮৭ জনের শরীরে নমুনা পরীক্ষায় ১০৩ জনের করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়েছে। যা পরীক্ষা বিবেচনায় ৫৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। যা জেলায় একদিনে সর্বোচ্চ হার। এনিয়ে জেলায় আজ পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১ হাজার ৯৮৯ জন।
সাতক্ষীরা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন এক নারী ও আপন দুই সহোদরসহ আরো ৫ জন। মৃত ব্যক্তিরা হলেন, কালিগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের মনিরা খাতুন, দেবহাটা উপজেলার বদরতলা গ্রামের সুশাংক কুমার, শ্যামনগর উপজেলার পাতাখালী দু’সহোদর তোহা কামাল ও সোয়েব খান এবং সদর উপজেলার হাওয়াখালী গ্রামের আবুল হোসেন। এনিয়ে জেলায় করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ২৩২ জন ব্যাক্তি। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৮ জন।
এমন পরিস্থিতিতে সাতক্ষীরা লকডাউনের ৪র্থ দিনে করোনার লাগাম টানতে প্রশাসনকে কিছুটা কঠোর হতে দেখা গেছে। পুলিশ শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে আরও বেশী সংখ্যক চেকপোস্ট বসিয়ে সাধারনের চলাচল নিয়ন্ত্রন করছে। জেলায় বাড়ানো হয়েছে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান।
গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত তিনদিনে ৪১টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে, মামলা দায়ের করা হয়েছে ২১৭ টি এবং এই সময়ে স্বাস্থ্যবিধি না মানা ও লকডাউনের বিধিনিষেধ প্রতিপালন না করায় ১লাখ ২৩হাজার ৫৪৩ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন।
এখনও জেলায় সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। কিছুকিছু মটরচালিত যান চলতে দেখা গেছে কিছু এলাকায়। এছাড়া সীমিত সময়ের জন্য সকাল ৮টা থেকে ২টা পর্যন্ত চলছে ভোমরা স্থল বন্দরের আমদানী-রফতানি কার্যক্রম।
সাতক্ষীরায় প্রশাসন কঠোর হলেও নি¤œ আয়ের মানুষকে ঘরে বন্দিকরে রাখা যাচ্ছে না। বিশেষ করে ভ্যান, রিক্সা- ইজিবাইক চালকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়েও শহরের যাত্রীবহনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। যদিও পুলিশ অনেক আটক করে ভ্যান উর্দ্ধমুখি করে রাখাসহ বিভিন্ন তাদের নিয়ন্ত্রনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
সাতক্ষীরার সিভিল সার্জন ডাঃ হুসাইন শাফায়াত জানান, গত ২৪ ঘন্টায় সাতক্ষীরায় ১৮৭ জনের করোনা পরীক্ষা শেষে ১০৩ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। যা শনাক্তের হার ৫৫ দশমিক ০৮ শতাংশ। করোনা সন্দেহে মেডিকেলে দুই জন ও সদর হাসপাতালে এক জনের কথা স্বীকার করে এই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরো জানান, করোনা সন্দেহে আজ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ২৩২ জন। বর্তমানে জেলায় লকডাউন চলছে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে ভাল রিপোর্ট পাওয়া যাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।##
০৮.০৬.২০২১