নিজস্ব প্রতিবেদক : সাতক্ষীরা সদরের কদমতলা বাজারে সরকারি নির্দেশনার তোয়াক্কা না করেই বসছে পশু হাট। এই হাটে কোন রকম সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই দেদারসে চলছে কেনা-বেচা।
করোনা পরিস্থিতিতে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে পশুর হাট ব্যবস্থাপনায় সরকার যে ১২টি নির্দেশনা জারি করেছে তার বেশিরভাগই অমান্য হচ্ছে এই হাটে।
সরকারি নির্দেশনায় হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের একমুখী চলাচল, অর্থাৎ প্রবেশপথ এবং বের হওয়ার পথ আলাদা করার কথা থাকলেও কদমতলা বাজারের পশুর হাটের দুটি পথ দিয়েই প্রবেশ এবং বহির্গমণ চলছে কোনরকম বাধা ছাড়াই।
নির্দেশনায় বৃদ্ধ ও শিশুদের পশুর হাটে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা হলেও এই হাটে সব বয়সী মানুষের আনাগোনা লক্ষ করা গেছে। এ পশুর হাটে জাল টাকা শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও চোখে পড়েনি।
হাটে আসা সবাই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সেটি নিশ্চিত করা এবং ক্রেতা-বিক্রেতার তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র, হাত ধোয়ার জন্য পর্যাপ্ত বেসিন, পানি ও জীবাণুনাশক সাবান রাখার কথা নির্দেশনায় উল্লেখ থাকলেও কদমতালা বাজারের এই পশুর হাটে নেই কোন তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র। হাত ধোয়ার জন্য পানি, জীবাণুনাশক এমনকি পর্যাপ্ত বেসিনও নেই।
সরকারি নির্দেশনায় সামাজিক দূরত্ব মেনে পশুর হাটে লাইনে দাঁড়ানো, প্রবেশ এবং বের হওয়া নিয়ন্ত্রণ নিশ্চিত করার জন্য বলা হলেও এই হাটে সামাজিক দূরাত্বের বালাই নেই। এমনকি হাটে আসা বেশিরভাগ ক্রেতা-বিক্রেতার মুখে মাস্কও নেই। আবার কারও-কারও কাছে মাস্ক থাকলেও তা মুখ থেকে নিচে নামানো অথবা পকেটে কিংবা অন্যত্র রেখে দিয়েছেন তারা।
গোলাম রসুল ও রুহুল আমিন নামের দুই ছাগল বিক্রেতার কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে উভয়েই বলেন, মাস্ক আছে কিন্তু পকেটে। মাস্ক কেন মুখে দেননি এমন প্রশ্ন করতেই পকেট থেকে মাস্ক বের করে মুখে দেন তারা।
বাবলা নামের আরেক বিক্রেতার কাছে মাস্ক না পরার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাস্ক ছিলো কিন্তু ছাগল নিয়ে বাজারে আসার সময় হারিয়ে গেছে। এজন্য মাস্ক পরতে পারিনি আর এখন ছাগল রেখে তো মাস্ক আনতে যেতে পারছি না।
সরকারি নিদের্শনা অমান্য করে কেনা-বেচার বিষয়ে কদমতলা বাজারের পশুরহাটের ইজারাদার মো. রেজাউল ইসলাম রাজা বলেন, আমি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করবো। এবং সকলকে মাস্ক পরার জন্য অনুরোধ জানাবো।
এ প্রসঙ্গে কদমতলা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া গাজীর মন্তব্য জানার জন্য তার ব্যবহারিত মোবাইল নাম্বারে একাধিক বার কল করলেও তার মোবাইল বন্ধ থাকায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতেমা তুজ জোহরা বলেন, কদমতলা বাজারে সপ্তাহের কোন দুই দিন পশুর হাট বসে এটা আমার জানা ছিলোনা। আমি ব্যবস্থা নিব ইনশাল্লাহ।