আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে সহকারী কমিশনার ‘ভূমি’ (এসিল্যান্ডের) এর নাম ভাঙিয়ে বালু উত্তোলনকারির থেকে রেভিনিউ আদায়ের ঘটনায় গ্রাম পুলিশ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কুঁন্দুড়িয়া গ্রামের সুব্রত মন্ডলের ছেলে অমরেশ মন্ডল বাদী হয়ে এ অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগসূত্রে জানা গেছে, সরকারীভাবে কুঁন্দুড়িয়া হাইস্কুল মাঠে মেশিন দ্বারা বালু ভরাটের কাজ চলছিলো। কাজ শেষে মেশিন বন্ধ থাকায় বাদী মিস্ত্রীদের বলে তার দুইটি পাঁকা রুমে বালু ভরাটের কাজ করিয়ে নেন। এসময় বুধহাটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এসে বালু উত্তোলন করা বন্ধ করে দেন। নায়েব চলে যাওয়ার পর
ইং-০৮/০৭/২০২১ তারিখ বিকাল অনু: ৪.০০ ঘটিকার উক্ত বিবাদী গ্ৰাম পুলিশ খলিলুর রহমান আমার কাছে বালু উত্তোলন করায় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি দেখিয়ে ও তার পিতাকে সন্ধ্যার ভিতরে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশাশুনির নাম ভাঙিয়ে বিদীর নিকট হতে জোর পূর্বক ৭ হাজার টাকা নেয়। এরপর ইং-১২/০৭/২০২১ তারিখ বেলা অনু: ২.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীর কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়ে রিসিভ চাওয়ায় বিবাদী তাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। ঘটনার বহু স্বাক্ষী ও প্রমান আছে। বিবাদী যখন তার কাছ থেকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অফিসের নাম করে টাকা নেয় তখন বিষয়টি কৌশলে মোবাইল ফোনে রেকর্ডীং করেও রাখা আছে। ইতিপূর্বে তৎকালিন ইউএনও মীর আলিফ রেজার নাম করে উক্ত বিবাদী একাধিক অসহায় বিধবার ভাতার টাকা আত্মসাতের ঘটনার নিউজ ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হলে একাধিক বিধবা মহিলাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত দিতে বাধ্য হয়। সেটিও ফেইসবুকসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত প্রচারিত হয়।
এছাড়াও বিবাদীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের একাধিক অভিযোগ আছে। এদিকে, গ্রাম পুলিশ খলিলুর রহমান ইতিমধ্যে সাংবাদিকদের কাছে ৫ হাজার টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। বিষয়টি নিয়ে বুধহাটা ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঐ দিন সেখানে গিয়েছিলাম এবং মাঠ ভরাটের বাহিরে বালু উত্তোলন করলে সরকারী রেভিনিউ জমা দেওয়ার কথা বলে চলে এসেছিলাম। আমি টাকা পয়সা লেনদেনের বিষয়ে কিছুই জানি না। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিন সুলতানার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এবিষয়ে তারা ইউএনও মহোদয় বরাবর অভিযোগ করেছেন। আগামী রবিবার ইউএনও মহোদয় অফিসে আসলে বিষয়টি উনি দেখবেন। বিষয়টির তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।