প্রেস বিজ্ঞপ্তি : চিহ্নিত কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া চললেও সারাদেশে হাজার হাজার আলবদর,রাজাকার ও শান্তি কমিটির নেতারা এখন প্রকাশ্যে ৭১ এর মত দেশবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত রয়েছে। মৃত্যুদন্ড প্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর সেকেন্ড ইন কমান্ড, চট্টগ্রাম আলবদর বাহীনির চট্টগ্রামের অপারেশনাল ইনচার্জ ও জামাতের অর্থ যোগান দাতা শিল্পপতি টি কে আবুল কালাম, চট্টগ্রাম আলবদরের আরেক শীর্ষ কমান্ডার মওলানা আবু তাহের, রাজাকার কমান্ডার ও হেফাজত ইসলামী নেতা মাওলানা আব্দুল হালীম বোখারী সহ দেশের সকল যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাই। ১৯৭৩ সালে গঠিত ৭৩ টি বিশেষ ট্রাইব্যুনালকে পুনরুজ্জীবিত ও পুন:গঠনের মাধ্যমে আঞ্চলিক পর্যায়ে সকল যুদ্ধাপরাধীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শুক্রবার বিকাল ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে উপস্থিত বক্তাগণ,অবিলম্বে টি কে কালাম সহ সকল আঞ্চলিক যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। সমাবেশে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আবদুল মান্নান চৌধুরী, বীর মুাক্তিযোদ্ধা আখতার জাহান, এম.পি, অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এম.পি, সেলিনা জাহান লিটা এম.পি, জন প্রশাসন মন্ত্রনালয়ের সাবেক সচিব আলী কবির, আবুল কালাম আজাদ এম.পি, যুগ্ন-মহাসচিব, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম,অধ্যাপক আবুল কালাম পাটোয়ারী, বিশ^ বাঙ্গালি সম্মেলনের সভাপতি কবি আব্দুল খালেক, সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার মোজ্জামেল হক, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা নেটওয়ার্কের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আলী আমান প্রমূখ। বিজয় সংগঠনের সভাপতি আবু তৈয়ব ও বিভিন্ন মুক্তিযোদ্ধা নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশটি আঞ্চলিক যুদ্ধাপরাধী নির্মূল কমিটির সমন¦য়ক তারেক হায়দারের উপস্থাপনায় এবং আহ্বায়ক কামরুজ্জামান সোহাগের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে আগামী ৭ ই জুলাই ২০১৭ রোজ শুক্রবার, শাহবাগ প্রজন্ম চত্বরে আঞ্চলিক সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ১৯৭৩ সালের ৭৩ টি বিশেষ ট্রাইব্যুনালকে পুন:গঠনের দাবিতে বৃহত্তর নাগরিক সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
পূর্ববর্তী পোস্ট