নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা সদরের ব্রহ্মরাজপুরে দুইশতাধিক পরিবারকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্তি দিতে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করায় চেয়াম্যানের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে এলাকাবাসী। বৃহস্পতিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হোসেন আলী। লিখিত বক্তেব্যে তিনি বলেন আমরা সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা। বিগত ১০০ বছর ধরে বর্ষা মৌসুমের পানি আব্দুল মালেকের বাড়ির সামনের সরকারি ড্রেন দিয়ে নিস্কাশিত হয়ে আসছে। এ যাবত কখনো আমাদের বসতবাড়ি এমনকি বাড়ির উঠানেও জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়নি। কিন্তু সম্প্রতি একই এলাকার মৃত. আহম্মদের পুত্র হবিবুর রহমান সরকারি জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণ করে। এ সময় বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যান ও ইঞ্জিনিয়ারসহ এলাকাবাসীর নামে মামলাও করে হবিবুর রহমান। মামলায় থেকে ইতোমধ্যে আমরা অব্যাহতি পেয়েছি। এছাড়া তার বাড়ির পিছনে থাকা সরকারি কালভার্টও মাটি দিয়ে আটকে রেখে অত্র এলাকার দ্শুতাধিক পরিবারকে জলাবদ্ধতার কবলে ফেলেছেন। ওই হবিবুর রহমান কর্তৃক দীর্ঘদিনের পানি নিস্কাশনের ড্রেন আটকে প্রাচীর নির্মাণ করা এবং কালভার্ট আটকে দেওয়ার কারণে সামান্য বৃষ্টি হলেই আমাদের বাড়িঘর পানিতে তলিয়ে যায়।
সৃষ্টি হয় স্থায়ী জলাবদ্ধতার। আমাদের চরম দুর্ভোগের পরিস্থিত নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলামের কাছে আবেদন করলে চেয়ারম্যান সাহেব আমাদের বিষয়টি পরিদর্শন করে সরকারি রাস্তার ইট তুলে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু হবিবুর রহমান এ বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে নানান চক্রান্ত শুরু করে। এটা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসনসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আমাদের দুর্ভোগ দেখে দ্রুত পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করার জন্য উল্টো হবিবুর রহমানকে শাসিয়েছেন। এরপরও হবিবুর রহমান আমাদের হয়রানি করতে মিথ্যা, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। মানুষকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে অনেকেই নিজের জমি কেটে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করেছেন। অথচ হবিবুর এমন সরকারি জমি দখল করে নিজের সামান্য স্বার্থে এলাকার প্রায় দুইশতাধিক পরিবারকে পানিতে হয়রানি করে যাচ্ছেন। তার জমি নিয়ে ইতোমধ্যে তিন বার মাপজরিপ করা হয়েছে। সরেজমিনে পরিদর্শন পূর্বখ সার্ভেয়ার স ম জালাল উদ্দিন মন্তব্য করে লিখেছেন ৪৭৪৮ দাগের পূর্ব পাশের রাস্তা অর্থাৎ ৪৭১৮ দাগ যা খাস। সে অনুযায়ী তিনি একটি স্কেচ ম্যাপ প্রস্তুত করে দেন। কিন্তু তারপরও উক্ত চক্রান্তকারী হবিবুর রহমান সম্পূর্ণ গায়ের জোরে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে গিয়ে এধরনের চক্রান্ত করে যাচ্ছেন। তার কারণে সৃষ্ট জলাবদ্ধতার কবল থেকে রক্ষা পেতে এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার গণস্বাক্ষরও করেছেন। হবিবুরের কবল থেকে দীর্ঘদিনের পানি নিস্কাশনের ড্রেন ও কালভার্ট অবমুক্ত রাখা এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক ও সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু কামনা করছি।