দেবহাটা ব্যুরো: লকডাউনে স্কুল বন্ধ, এই সুযোগে দেবহাটার বহেরা গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর সাথে একই গ্রামের ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রের বিয়ে দেওয়ায় অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই নববধূর মাকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।
ঘটনাটি উপজেলার বহেরা গ্রামের। আহ্লাদে বিয়ে করা বর ও নববধূ উভয়েই স্থানীয় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাছলিমা আক্তার মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনাসহ নববধূর মাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরিন জাহান জানান, কিছুদিন পূর্বে বহেরা গ্রামের হযরত আলী সাহা নামের এক ব্যক্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, তার স্কুল পড়ুয়া ৮ শ্রেণির ছেলের সাথে একই এলাকার রবিউল ইসলামের স্ত্রী নিজের ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া কন্যাকে কাউকে না জানিয়ে নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে বয়স বাড়িয়ে বিয়ে দিয়েছেন। হযরত আলী নোটারী পাবলিকের নকল তুলে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে নির্বাহী অফিসারের নিকট অভিযোগটি দায়ের করেন।
তারই প্রেক্ষিতে শনিবার নির্বাহী অফিসার সেখানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন এবং বাল্য বিয়ে দেয়ার অপরাধে ওই অপ্রাপ্ত বয়স্ক নববধূর মাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন। তাছাড়া সদ্য বিবাহিত দম্পত্তি প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত একে অপরের থেকে আলাদা থাকার নির্দেশনাও দেন।
এসময় মহিলা বিষয়ক অফিসার নাসরিন জাহান, কুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আসাদুল ইসলাম, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর কবির, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাছলিমা আক্তার জানান, ছেলের বাবার অভিযোগের সুত্র ধরে কন্যার বাড়িতে গিয়ে বাল্যবিয়ের সত্যতা পাওয়ায় মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে কন্যার মাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।