নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও আব্দুল খালেক ও চাম্পাফুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ক্ষমতার বলে তার দফাদার ও চৌকিদার বাহিনী দিয়ে অবৈধ ভাবে ভুমিহীন বিধবা জাহানারা খাতুনকে মারপিট বাড়ি ভাংচুর ও উচ্ছেদের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসুচি পালিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১১ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বারদহা ইউছুফপুর গ্রামবাসি ঘন্টাব্যাপি এ মানববন্ধন কর্মসুচি পালন করে।
মাবববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য আবুল কালাম গাজী,আশরাফ আলী, জাহানারা খাতুন, আবুল হোসেনসহ এলাকার শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
মানববন্ধন ও স্মারলিপিতে বক্তারা বলেন, জাহানারা খাতুন ২০/২৫ বছর পূর্বে স্বামী পরিত্যাক্তা হয়ে বৃদ্ধা মাতা ও দুই সন্তান নিয়ে কালিগঞ্জের বারদহা এলাকায় ঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। সম্প্রতি পুত্র সন্তানের বিবাহ দেওয়ার জন্য আরেকটি ঘর নির্মাণের চেষ্টা করতে গেলে নজর পড়ে এলাকার একটি কুচক্রী মহলের। তারা চাম্পাফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক মোজামকে দিয়ে উক্ত ঘর নির্মাণে বাধা প্রদান করেন।
এক মাত্র ছেলে আবু সাদেক ও একমাত্র মেয়ে আফরোজাকে নিয়েই জাহানারা সংসার। দ্বীন মজুরী করেই সংসার চলে। ৩১ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এসও আব্দুল খালেকের নির্দেশে তারই সহকারি জয়ন্ত দাঁড়িয়ে থেকে চাম্পাফুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক গাইনের সন্ত্রাসীরা বাহিনী ও স্থানীয় প্রতিপক্ষরা নির্মিত আংশিক পাকা ঘর নিমিষেই ভেঙে গুড়িয়ে দেয়। আমার কষ্টার্জিত অর্থ দিয়ে নির্মিত শেষ সম্বলটুকু লুটপাট হলেও কেউ কথা বলার সাহস রাখেনি। এছাড়া এসও খালেক ও জয়ন্ত দুইজনে একলক্ষ টাকা চেয়েছিল। টাকা দিলে তারা আর এখানে আসবো না। আমি টাকা দিতে না পারায় আমার বাড়ি ঘর ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়েছে।
চেয়ারম্যান মোজাম নিজেই কালিগঞ্জের উজিরপুর বাজারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে তিনতলা ভবন নির্মান করে ভোগদখল করে যাচ্ছেন পুকুর ও মন্দির জায়গা দখলকে ইস্যু করে হিন্দু সম্প্রদায়সহ এলাকার জনসাধারণ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি আবেদন করলে জেলা প্রশাসক তদন্ত স্বাপেক্ষে পুকুরটি উন্মুক্ত করার আদেশ দিলেও কোন কর্ণপাত করেনি চেয়ারম্যান। বর্তমান চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে চৌকিদার বাহিনী দিয়ে বালাপোতা বাবার ধাম মন্দিরে তার চৌকিদার বাহিনী দিয়ে জলঢালা বন্ধসহ বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে পুজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় এলাকাবাসি জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।