বিদেশের খবর : মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দকে প্রধান করে আফগানিস্তানে সরকার গঠন করেছে তালেবান। সরকারে হাসান আখুন্দের ডেপুটি হিসেবে কাজ করবেন মোল্লা আব্দুল গনি বারাদার।
এদিকে হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রবীণ নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানিকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং মোল্লা ওমরের ছেলে মোল্লা মোহাম্মদ ইয়াকুবকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করা হয়েছে।
এ ছাড়া তালেবানের আরেক নেতা আমির খান মুত্তাকিকে করা হয়েছে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর তালেবানের রাজনৈতিক প্রধান শের মোহাম্মদ আব্বাস স্তানিকজাই হচ্ছেন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী। হেদায়েতউল্লাহ বদরি ভারপ্রাপ্ত অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন।
তালেবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ রাজধানী কাবুলে মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। খবর আল জাজিরার।
কাবুল থেকে আল জাজিরার সংবাদদাতা চার্লস স্ট্র্যাটফোর্ড জানান, তালেবানের ঘোষিত সরকারে অনেকেই ‘পুরোনো মুখ’।
তবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের একটি বড় দাবি, ঘোষিত সরকারের নামের তালিকায় তালেবানবিহীন সদস্যদের কোনো নাম নেই।
এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, তালেবানের এক সিনিয়র নেতা দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনালকে বলেছেন, ‘আমিরুল মুমিনিন শেখ হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবান নেতা মোল্লা হাসান আখুন্দকে রাইস-ই-জামহুর বা রাইস-উল-ওয়াজারা অথবা আফগানিস্তানের নতুন রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে প্রস্তাব করেন।
তালেবানের তিনজন নেতা মোল্লা মোহাম্মদ হাসান আখুন্দের রাষ্ট্রপ্রধান মনোনয়ন নিশ্চিত করেছেন বলে দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল জানিয়েছে। মোল্লা হাসান আখুন্দ বর্তমানে তালেবানের প্রবল সিদ্ধান্ত-গ্রহণকারী পরিষদ রেহবারি শুরা বা নীতিনির্ধারণী পরিষদের প্রধানের দায়িত্ব পালন করছেন। তালেবানের তীর্থস্থান হিসেবে পরিচিত কান্দাহারে জন্ম তাঁর। তাঁকে তালেবানের প্রতিষ্ঠাতাদের অন্যতম একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তালেবানের আরেক নেতা বলেছেন, ‘মোল্লা হাসান আখুন্দ ২০ বছর ধরে রেহবারি শুরার প্রধান হিসেবে কাজ করছেন এবং তালেবান নেতাদের মধ্যে তাঁর অনেক সুখ্যাতি রয়েছে।’
এদিকে এনডিটিভি জানিয়েছে, অপেক্ষাকৃত স্বল্প পরিচিত হলেও দীর্ঘদিন ধরে দলটির রাজনীতিতে যুক্ত রয়েছেন মোল্লা হাসান আখুন্দ। তালেবানের আগের সরকারেও মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। জাতিসংঘের সন্ত্রাসী তালিকাতেও নাম রয়েছে তাঁর।
২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে হামলা ও কাবুলে তালেবান সরকারের পতনের পরে পাকিস্তানের বালুচিস্তানে গঠিত তালেবান ‘কোয়েটা শুরা’র নেতৃত্বে ছিলেন আখুন্দ। বারাদারের মতো তাঁকেও ২০১০ সালে পাকিস্তান প্রশাসন গ্রেপ্তার করেছিল। পরবর্তীতে মুক্তি পান তিনি।
প্রায় দুই দশক ধরে আখুন্দজাদার ঘনিষ্ঠতম সহযোগী হিসেবে পরিচিত আখুন্দ তালেবানের শান্তি আলোচনা বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ‘রেহবারি শুরা’রও প্রধান ছিলেন।