মাহফিজুল ইসলাম আককাজ : কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এবং খেলাধুলায় অংশ নেন এ কলেজের শিক্ষার্থীরা। সাতক্ষীরা শহরের লাবসা এলাকায় ২.০৫ একর জমির উপর ২০০২/২০১৪ সালে নির্মিত হয় সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট। এ জেলার কারিগরী শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে কলেজের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমানসহ শিক্ষকমন্ডলী। সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউট ক্যাম্পাসটি অত্যন্ত সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে অবস্থিত। এ কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়নসহ সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধির জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছে কলেজের অধ্যক্ষ। কম্পিউটার, ইলেকট্রনিকস, এনভায়রনমেন্ট ও আরএসি বিভাগে বর্তমানে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ১ম শিফটে মোট ছাত্র-ছাত্রী ৫৯৯জন এবং ২য় শিফটে মোট ছাত্র-ছাত্রী ৫৯৭ জন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ২৯ জন শিক্ষক ও ২৮ জন কর্মচারী কর্মরত আছে। সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান ১৬ এপ্রিল ২০০৭ সালে যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে এ কলেজের সাহিত্য-সাংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিভিন্ন জাতীয় কর্মসূচিতে এ প্রতিষ্ঠান সাফল্য অর্জন করে চলেছে। এছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের আয়োজন করা হয় এ কলেজ ক্যাম্পাসে। ২০১৪ সালে কম্পিউটার বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩ জন। পাশের হার ১০০%। ইলেকট্রনিক্স বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৭ জন। পাশের হার ৯৮.০৫%। আরএসি বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬২ জন। পাশের হার ৯৫.৬১%। এনভায়রনমেন্ট বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৫ জন। পাশের হার ৯৬.৩৬%। ২০১৫ সালে কম্পিউটার বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৩ জন। পাশের হার ১০০%। ইলেকট্রনিক্স বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬৭ জন। পাশের হার ছিল ৯৮.০৫%। আরএসি বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৬২ জন। পাশের হার ৯৫.৬১%। এনভায়রনমেন্ট বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৫ জন। পাশের হার ৯৬.৩৬%। ২০১৬ সালে কম্পিউটার বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮২ জন। পাশের হার ৯১.৪৬%। ইলেকট্রনিক্স বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৮৪ জন। পাশের হার ৯৪.০৪%। আরএসি বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৭৭ জন। পাশের হার ৯৭.৪০%। এনভায়রনমেন্ট বিভাগে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫৯ জন। পাশের হার ৮৯.৮৩%। কলেজের শিক্ষার্থী রুমানা ইয়াসমিন, স্বপ্না পাল, কামরুল ইসলামসহ শিক্ষার্থীরা জানান, আমাদের কলেজের লেখা পড়ার মান অনেক ভালো এবং অধ্যক্ষ স্যারসহ সকল স্যারেরা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করান। কিন্তু আমাদের কালেজের একটি প্রধান সমস্যা হলো কলেজের হোস্টেল নেই। এছাড়া একটি খেলার মাঠ ও মসজিদ নির্মাণ আবশ্যক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা। সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইন্সস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জি.এম আজিজুর রহমান বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা দেওয়া হয়। এটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এর অধীনে পরিচালিত হয়। আগামী দিনেও এ কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভালো ফলাফল অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট