কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের বিরুদ্ধে উন্নয়ন প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মজর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিমের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক হুমায়ন কবীরের নির্দেশে সোমবার বেলা ১১টা হতে ইউনিয়নের র্পোট বসন্তপুর, হাড়দ্দাহ, দেয়াসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযুক্ত প্রকল্প গুলো সরেজমিনে তদন্ত কাজ শুরু করেন তিনি।
খোজ নিয়ে জানা যায়, বিগত ৫টি বছরে মিজানুর রহমান গাইন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকে কাগজে কলমে উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রকল্পের কাগজপত্র তুলে ও সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় কাজ হয়েছে কাগজ কলমে। বাস্তবে কোন মিল খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০১৭-১৮-১৯ ও ২০ অর্থ বছরের উল্লেখিত উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লোপাট করা হয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা, পানি নিস্কাশনের ড্রেনসহ জনগুরুত্বপুর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করে লাখ লাখ টাকা নিজের পকেটে ভরেছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম মথুরেশপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে বসন্তপুর গ্রামের পোর্ট প্রাইমারী স্কুলের সামনে হতে মুনজুর গাজীর বাড়ী পর্যন্ত নতুন ইটের রাস্তা (৬০ হাজার টাকা), হবি মোল্লার বাড়ীর মুখ হতে সাইফুল মেম্বরের বাড়ি অভিমুখে পানি নিস্কাশনের আউট ড্রেন নির্মান (২ লক্ষ টাকা), ২ নং ওয়ার্ডে হাড়দ্দহা কলগেট হতে ঘূর্নিঝড় আয়লার পানি প্লাবন হতে রক্ষা পাওয়ার জন্য রমিচ পুটের বাড়ি অভিমুখে মাটির রাস্তা নির্মান (২ লক্ষ টাকা), ৫ নং ওয়ার্ডের মনোরঞ্জন ঘোষের বাড়ী হতে নিলকমল ঘোষের বাড়ী অভিমুখে ইটসোলিং (১ লক্ষ টাকা), বজলু সরদারের বাড়ীর মুখ থেকে কোমলের বাড়ী অভিমুখে নতুন ইটসোলিং (৪১ হাজার টাকা), ৭ নং ওয়ার্ডে উজয়মারী জয়দেবের বাড়ীর মুখ হইতে উজয়মারী প্রাইমারী স্কুল পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার (৮০ হাজার টাকা) উন্নয়ন প্রকল্পের কাজের তদন্ত করেন। তদন্তকালে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইন, অভিযোগকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম, মথুরেশপুর ইউপির সদস্য ও সদস্যাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান গাইনের ব্যবহ্নিত ০১৭৩০৯৮৬৯২৩ ফোনে রিং দিলে রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
তদন্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলামের কাছে দূর্নীতির তদন্তের সত্যতা জানতে মুঠো ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।