সাতক্ষীরায় কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের স্মরণ সভা
নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় কথা সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হকের স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যায় সাতক্ষীরা ম্যানগ্রোভ সভা ঘরে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন, তালা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশুতোষ সরকার।
মূখ্য আলোচক ছিলেন, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মাধব চন্দ্র রুদ্র।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, খুলনা বিএল কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শংকর কুমার মল্লিক। আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতি সাতক্ষীরার সভাপতি অধ্যক্ষ এনামুল ইসলাম, কবি ও প্রাবন্ধিক শুভ্র আহমেদ।
ডেইলি সাতক্ষীরার সম্পাদক হাফিজুর রহমান মাসুমের সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন, এড. মুস্তফা লুৎফুল্লাহ এমপি, প্রফেসর আব্দুল হামিদ, কবি স ম তুহিন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, “হাসান আজিজুল হক টেরিফিক রাইটার, সাহিত্যে টেরিফিক হওয়া সহজ নয়। শুধু কি ঔপন্যাসিক হিসেবে, তার সাহিত্য সমালোচনাও দারুণ।”
হাসান আজিজুল হক ১৯৬৭ সালে আদমজী সাহিত্য পুরস্কার এবং ১৯৭০ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পান। এরপর লেখক শিবির পুরস্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, ফিলিপস সাহিত্য পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার-সম্মাননা পান তিনি।
১৯৯৯ সালে তাকে ‘একুশে পদকে’ ভূষিত করে সরকার। ২০১৯ সালে পান দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পুরস্কার।
তাঁর লেখা ‘সমুদ্রের স্বপ্ন শীতের অরণ্য’, ‘আত্মজা ও একটি করবী গাছ’, ‘জীবন ঘষে আগুন’র মতো গ্রন্থের গল্পগুলো বোদ্ধা পাঠকের মনযোগ কেড়ে নেয়। হাসান আজিজুল হকের উল্লেখযোগ্য গল্পগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে- নামহীন গোত্রহীন, পাতালে হাসপাতালে, আমরা অপেক্ষা করছি, রোদে যাবো, রাঢ়বঙ্গের গল্প। বাংলা ছোটগল্পের ‘রাজপুত্র’ উপন্যাস লেখার কাজ শুরু করেন নতুন শতাব্দীতে। তাঁর প্রথম উপন্যাস প্রকাশিত হয় ২০০৬ সালে। তাঁর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য উপন্যাস নিঃসন্দেহে ‘আগুন পাখি’। রাঢ় বঙ্গের প্রেক্ষাপটে এই উপন্যাস লিখেছিলেন এই কথা সাহিত্যিক, এর জন্য ২০০৮ সালে আনন্দ পুরস্কার প্রদান করা হয় তাঁকে।