প্রেস বিজ্ঞপ্তি : শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ীর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য পদে পুনরায় ভোট গননা করে সঠিক ব্যক্তিকে বিজয়ী ঘোষনার দাবীতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (০৩জানুয়ারী) শ্যামনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন শংকরকাটি গ্রামের মরহুম মানিক মোড়লের পুত্র ও ১নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য পদপ্রার্থী তালা প্রতীকের এম.এম.আনছার আলী (৬৮)। তিনি লিখিত বক্তব্য বলেন ০২ নং কাশিমাড়ী ইউনিয়নে ০১ নং ওয়ার্ডে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ২৬ শে ডিসেম্বর-২০২১ অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি তালা প্রতীক নিয়ে ইউপি সদস্য প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছেন। নির্বাচনে ০১নং ওয়ার্ডের ০৬ নং শংকরকাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে প্রিজাইডিং অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ হাকিজজন নূরী (প্রিন্সিপাল অফিসার-ব্যবস্থাপক রুপালী ব্যাংক লিঃ, নওয়াবেঁকী শাখা, শ্যামনগর, সাতক্ষীরা)। প্রিজাইডিং অফিসার ও তার কয়েকজন সহযোগী সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের যোগ সাজসে তার প্রতীদ্বন্দি প্রার্থী হামিদুল কবীর বাবুর (ফুটবল প্রতীক) সম্পূর্ন অন্যায় ভাবে ও কারচুপি করে বিজয়ী করার অভিযোগ উঠেছে। ভোট গননার ক্ষেত্রে তার তালা প্রতীক ৫৯৩ ভোট বৈধতা দেখান।
বাতিল ৭০ ভোটে আমার বৈধ ভোট প্রায় ৪০টি থাকায় তার পোলিং এজেন্ট মোঃ বাবুল আক্তার এর তীব্র বিরোধীতা করলে প্রিজাইডিং অফিসার কোন অভিযোগ আমলে না নিয়ে তাকে বরং বের করে দেন। এমনকি ২০৩৩ টি ভোট পোল হলেও ভোট গননায় ২০২২ টি দেখানো হয়েছে। তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হামিদুল কবীর বাবুর (ফুটবল প্রতীক) কু-কৌশলে ৬০৭ ভোট বৈধতা দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষনা করেন। পরবর্তীতে তার এজেন্ট মোঃ বাবুল আক্তার সহ অন্যন্য প্রার্থীর এজেন্টগন ভোটের ফলাফল শিট ফরম-ঞ-২ তে সাধারণ আসনের সদস্য পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীগনের ভোট গননার বিবরনী পত্রে তার স্বাক্ষরিত পত্র দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে চলে আসেন।
তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হামিদুল কবীর বাবুর (ফুটবল প্রতীক) ভোট গননার পরপরই পরাজিত জেনে তার কর্মী সমার্থকরা কেন্দ্রে ছেড়ে চলে যান। ভোট গননা ঘোষনার পূর্বে বাবু পুনরায় বাড়ী থেকে ভোট গননার স্থলে গিয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে একান্ত সাক্ষাৎ শেষে চলে আসেন। তখন প্রিজাইডিং অফিসার অহেতুক আতঙ্ক সৃষ্টি করে সকল এজেন্টদের বের করে দিয়ে পরে ফলাফল ঘোষনা হবে বলে চলে আসেন। অথচ পরবর্তীতে উপজেলা রিটানিং অফিসার ও উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার, শ্যামনগর এর কার্যালয়ে এসে তিনি জানতে পারেন তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী হামিদুল কবীর বাবুর (ফুটবল প্রতীক) ৬০৭ ভোটে বিজয়ী করা হয়েছে।
পুনরায় উক্ত কেন্দ্রে ভোট গননা করার দাবী জানিয়েছেন আনছার আলী।