আসাদুজ্জামান : সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জে মধু আহরণ মাসের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে। পশ্চিম সুন্দরবন সাতক্ষীরা রেঞ্জের আয়োজনে মঙ্গলবার দুপুরে বুড়িগোয়ালিনী রেঞ্জ কার্যালয়ে মধু আহরণ মাসের উদ্ধোধন করেন,
খুলনা বিভাগীয় বনসংরক্ষক (ডিএফও) ড. আবু নাসের মোহাম্মাদ মহসীন হোসেন। এসময় প্রধান অতিথি ছিলেন, খুলনা অঞ্চলের বনসংরক্ষক মিহির কান্তি।
বিশেষ অতিথি ছিলেন,উপজেলা চেয়ারম্যান এস.এম আতাউল হক দোলন, শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আক্তারুজ্জামান, ও সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এম.এ হাসান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে জানানো হয়, এবার সুন্দরবনের মধু আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ১হাজার ২শত কুইন্টাল এবং মোম আহরনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে ২৬৫ কুইন্টাল। প্রতি কুইন্টাল মধুর জন্য ১হাজার ৬শত টাকা এবং মোমের জন্য ২হাজার ২শত টাকা রাজস্ব নির্ধারিত করা হয়েছে। সাতক্ষীরা রেঞ্জের আওতায় বাওয়ালীরা সুন্দরবনে পুষ্পকাটি, নোটাবেকী, দোবেকি ও কাচিকাটা স্পট হতে মধু আহরণ করতে পারবেন।
প্রতি নৌকায় ১০-১২ জন বাওয়ালী অবস্থান করতে পারবেন। ১জন বাওয়ালী ১৫দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫০ কেজি মধু ও ১৫ কেজি মোম আহরণ করতে পারবেন। ১৫দিনের বেশি কোন বাওয়ালী সুন্দরবনে অবস্থান করতে পারবেন না। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১৫জন বাওয়ালীকে আনুষ্ঠানিকভাবে মধু আহরণের অনুমতি প্রদান করা হয়। চলতি বছর ১৫দিন আগেই সুন্দরবনে মধু আহরণ শুরু হয়েছে। আজ ১৫ মার্চ হতে আগামী ১৫ মে আড়াই মাস ব্যাপী বাওয়ালীরা অনুমতি নিয়ে সুন্দরবনে মধু আহরণ করতে পারবেন।
গাবুরা গ্রামের বাওয়ালী ফারুক ও রব্বানীসহ অন্যরা জানান, বর্তমানে সুন্দরবনে বনদস্যু না থাকায় নির্বিঘেœ মধু আহরণ করা যাবে। অনুষ্ঠানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন এলাকা হতে বাওয়ালীরা অংশ গ্রহণ করেন।
সাতক্ষীরা সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এম এ হাসান জানান, সুন্দরবনে নির্বিঘেœ মধু আহরণের জন্য বনবিভাগের টহল জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া বন্যপ্রাণীর আক্রমন হতে রক্ষার জন্য বাওয়ালীদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।