প্রেসবিজ্ঞপ্তিঃ নদী বাঁচাও অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও ভূমিহীনদের পুনর্বাসনের দাবিতে ও বেতনা নদী খননের মাটি লুটপাট, খননের অনিয়মের প্রতিবাদে সাতক্ষীরা জেলা নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে লাবসা ইউনিয়নের বিনেরপোতা ব্রীজ সংলগ্ন এলাকায় সাতক্ষীরা জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন,
সাতক্ষীরা জেলা নদী, বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির সভাপতি আদিত্য মল্লিক ও সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ইউপি মহিলা সদস্য ফাহমিদা জামান মিতু, সংগঠনের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ,
আবু সুফিয়ান সজল, শেখ শওকাত আলী, সেলিম হোসেন, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক রহমত আলী, মনিরুল ইসলাম রানা,
ইউছুফ আলী, আলি মুজজামান আলীম, হাবিবুর রহমান, ইসমাইল হোসেন, হাফিজুর রহমান, আল হেলাল, সদর উপজেলা ভূমিহীণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর আশিক ইকবাল বাপ্পী , লাবসা ইউনিয়ন ভুমিহীন সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম, নাজমা আক্তার (নদী), অব: শিক্ষক মনছুর আলী, শফিকুল ইসলাম প্রমূখ। এসময় নদী বন ও পরিবেশ রক্ষা কমিটির ও ভুমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বেতনা ও খাল খনন শুরু হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী খনন এলাকার প্রতি মোড়ে মোড়ে প্রকল্পের বরাদ্দকৃত অর্থ, খননের সিডিউল এবং উপর নিচের কতটুকু খনন হবে এসব উল্লেখ পূর্বক একটি সাইবোর্ড উত্তোলন করতে হবে। বিধিমোতাবেক বেতনানদী ও খাল খনন করতে হবে, বিলের পাশের খাল উদ্ধার করতে হবে। স্লাইজ গেট চালু করতে হবে। গাছ কেটে ইটভাটায় জ্বালানী বন্ধ করতে হবে। অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও কাঠ পোড়ানো বন্ধ করে পরিবেশ দূষন মুক্ত করতে হবে। এসব এর পাশাপাশি ভুমিহীনদের উচ্ছেদকৃতদের পুনর্বাসন করতে হবে।
প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কবল থেকে খাস জমি উদ্ধার। পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসও এবং সহকারী ঠিকাদারদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা দলীয় নেতাদের এবং বিভিন্ন সংস্থার ও প্রতিষ্ঠানে নাম ভাঙ্গিয়ে নদী ও খাল খননের মাটি অবৈধভাবে দিনে ও রাতে লুটপাট করে নিয়ে ইটভাটায় বিক্রি করছেন। অবিলম্বে নদী ও খালের মাটি বিক্রিকারী ব্যক্তিদেরকে সনাক্ত করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকারি প্রত্যেক উপকারীভোগীতা স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে জেলার প্রায় ইউনিয়নে ও পৌরসভার জনপ্রনিধিরা তালিকা অনিয়ম করেছে।
অধিকাংশ ভুমিহীন ও অসহায় গরীব পরিবার এই উপকারীভোগীতে বঞ্চিত হয়েছে। তাদেরকে এই তালিকার আওতায় প্রকৃত ভূমিহীনদের ও অসহায় গরীবদের নাম দিতে হবে বলে বক্তারা দাবি জানান। প্রেস বিজ্ঞপ্তি