আসাদুজ্জামান ঃ সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্বামীর পেনশনের টাকা ও সম্পত্তিকে কেন্দ্র করে বৃদ্ধা মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে সন্তানের বিরুদ্ধে। উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের ছনকা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শনিবার ভোররাতে আম্বিয়া খাতুনের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহত আম্বিয়া খাতুন (৭০) ছনকা গ্রামের মৃত. আনছার আলীর স্ত্রী। নিহত আম্বিয়া খাতুনের ছোট ছেলে শেখ শরিফুজ্জামান শিমুল বলেন, মা আম্বিয়া খাতুন রাতে একা দুই তলায় ঘুমাতেন। প্রতিদিনের ন্যায় রাতের খাবার খেয়ে বাড়ির দুই তলায় নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান। আমি, আমার স্ত্রী ও মেয়ে নিচতলায় থাকি। সেহরি খাওয়ার সময় মাকে ডাকতে যেয়ে দেখি মা মৃত অবস্থায় পড়ে আছেন। শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। খাটের উপর রক্তের দাগ লেগে আছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আম্বিয়া খাতুনের স্বামী সরকারি চাকুরিজীবী ছিলেন। স্বামীর মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা আর জমির একটি অংশ স্ত্রী আম্বিয়া খাতুনের নামে ছিলো। মায়ের ওই সম্পদ নিয়ে বড় ছেলে আরিছুজ্জামান, ছোট ছেলে শরিফুজ্জামান ও ৪ মেয়ের মধ্যে বিরোধ চলছিল। নিহত আম্বিয়া খাতুন গত এক সপ্তাহ মেয়ের বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার (৮ এপ্রিল) সকালের দিকে মেয়ের বাড়ি থেকে ছোট ছেলের বাড়িতে আসেন তিনি।
এসময় তারা দাবি করেন, ‘জমি ও পেনশনের টাকা সংক্রান্ত ঘটনার জের ধরে আম্বিয়া খাতুনকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে।’
কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে প্রকৃত রহস্য জানা যাবে। তবে, বৃদ্ধার শরীরে ও খাটের উপর রক্তের দাগ রয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ওই বাড়িতে ছোট ছেলে তার স্ত্রী ও মেয়ে নিচতলায় ছিলেন। দ্বিতীয় তলায় ছাদঘরে ছিলেন বৃদ্ধা মা। ছেলে দাবি করছে, মা বয়স্ক মানুষ মাথা ঘুরে পড়ে খাটের কোণে লেগে রক্তাক্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় পরিবারের অন্য কেউ এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।