নিজস্ব প্রতিনিধি : বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরার ফার্মে “ব্রি উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল বোরো ধানের ফসল কর্তন উৎসব” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গল বার (১৯এপ্রিল)ব্রি সাতক্ষীরার আয়োজনে ব্রি উদ্ভাবিত বোরো মৌসুমের আধুনিক ও উচ্চফলনশীল ব্রি ধান-৮১ জাতের ধানের ফসল কর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো: শাহজাহান কবীর।
ব্রি আঞ্চলিক কার্যালয় সাতক্ষীরার প্রধান ড. তাহমিদ হোসেন আনছারী সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগ ব্রি গাজীপুরের সিএসও ও প্রধান ড. আমিনুল ইসলাম, সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা বিভাগ ব্রি গাজীপুরের সিএসও ও প্রধান ড. মো. মনিরুজ্জামান প্রমুখ। এছাড়া উক্ত অনুষ্ঠানে ব্রি গাজীপুর এবং ব্রি সাতক্ষীরার বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ইরানী প্রিমিয়াম ধানের জাত অসড়ষ-৩ এর বৈশিষ্টসম্পন্ন এ জাতটি ২০১৭ সালে জাতীয় বীজ বোর্ড কর্তৃক ছাড়করণ করা হয়। ব্রি উদ্ভাবিত বোরো মৌসুমের মেগা জাত ব্রি ধান-২৮-এর মতই স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন ব্রি ধান-৮১ (১৪০-১৪৫ দিন) জাতে আধুনিক উফশী ধানের সকল বৈশিষ্ট বিদ্যমান। জাতটি উপযুক্ত পরিবেশ ও ব্যবস্থাপনায় সর্বোচ্চ ৮.০০ টন/হেক্টর ফলন দিতে সক্ষম। এক হাজরটি পুষ্ট ধানের ওজন প্রায় ২০.৩০ গ্রাম ।
চালে এমাইলোজের পরিমাণ ২৬.৫০% । চালে প্রোটিনের পরিমাণ ১০.৩০% । উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ এ জাতটি সুগন্ধ ব্যতীত প্রিমিয়াম কোয়ালিটির সকল বৈশিষ্ট বিদ্যমান। চালের আকার আকৃতি বাসমতির মতো লম্বা ও চিকন থাকায় বিদেশে রপ্তানীযোগ্য । জাতটি দেশীয় বাজারে জিরা ধানের বিকল্প হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা পাবে বলে ব্রির বিজ্ঞানীগণ আশাবাদী। এসব িিপ্রময়াম বৈশিষ্ট্য থাকায় আগামীতে বোরো মৌসুমে বিব্র ধান-২৮ এর বিকল্প হিসেবে ব্রি ধান-৮১ জাতটি অধিক সম্প্রসারিত হবে বলে অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিজ্ঞানীগণ মতামত প্রদান করেন।