দেশের খবর: বোরো ধানের ভরা মৌসুমে চালের দামের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে মাঠে নামছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ৮টি টিম। মঙ্গলবার (৩১ মে) থেকেই টিমগুলো মাঠে নেমেছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে তার অফিস কক্ষে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বোরোর ভরা মৌসুমে ধান-চালের দাম বেশি কেন- সোমবার এ প্রশ্ন তুলে মন্ত্রিসভা অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ পদক্ষেপ নিলো।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ধান-চালের অবৈধ মজুত ঠেকাতে আজ থেকেই মাঠে নামছে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ৮ টিম। টিমের সদস্যরা কেউ অবৈধ মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে কি না তা খতিয়ে দেখবে এবং অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে কাজ করবে।
অবৈধ মজুতদারী প্রতিরোধে জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের (ইউএনও) আধা-সরকারি চিঠি পাঠানো এবং এনএসআই, র্যাব ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরকেও এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়াও শিগগির কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বিত সভা আয়োজন করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ে একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। অবৈধ মজুতের তথ্য জানাতে কন্ট্রোল রুমের +৮৮০২২২৩৩৮০২১১৩,০১৭৯০৪৯৯৯৪২ এবং ০১৭১৩০০৩৫০৬ নম্বরে যোগাযোগ করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়।
এর আগে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘এই ভরা মৌসুমে চালের দাম কেন বেশি-বৈঠকের সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমাদের মার্কেট সার্ভে করে ইমিডিয়েটলি একটা অ্যাকশনে (বাজার জরিপ করে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে) যেতে বলা হয়েছে। কেন চালের দাম বাড়বে? তাই কোথায় কে চাল মজুত করে এবং আমাদের কিছু ইনফরমেশন আছে যে, আমি যে ইন্ডাস্ট্রি টা করব বা যে প্রোডাকশনে যাবো, আমার তো মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশন আছে। মেমোরেন্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনে তো বলা আছে, আমি কি করতে পারব?’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘খাদ্যমন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী, খাদ্য সচিব, বাণিজ্য সচিব ও কৃষি সচিবকে দ্রুত বসে মার্কেট সার্ভে করে, এই বিষয়গুলো দেখতে বলা হয়েছে। ভরা মৌসুমে কেন চালের দাম এত বেশি থাকবে?’
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘কিছুদিন আগে তেলের বিপরীতে যেভাবে ড্রাইভ দেওয়া হল, ওই রকম ড্রাইভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যদি কেউ এভাবে আন অথরাইজড চালের ব্যবসা করে বা মজুত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’