প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের একটি অংশের পক্ষে সদস্য সুভাষ চৌধুরী যে বিশেষ সাধারণ সভার আহবান করেছেন তা আদালতের নির্দেশনা বহির্ভূত ও আদালত অবমাননার সামিল। আদালত বর্তমান কমিটিকে ১০ জন সদস্য নিয়ে প্রেসক্লাবের তালিকাভুক্ত করে নির্বাচনের ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন।
প্রকাশ থাকে যে, সাব জজ সদর কোর্ট কর্তৃক গত ০৮.০৫.২০২২ তারিখের আদেশ মোতাবেক বর্তমান কমিটিকে উক্ত ১০ জন সদস্যকে তালিকাভুক্ত করে ৪৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এই রায়ের বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে জজ কোর্টে একটি আপিল করা হয়।
শুনানি শেষে যুগ্ম জেলা জজ ১ম আদালত গত ২২.০৬.২০২২ তারিখের আদেশে নিন্ম আদালতের রায় বহাল রেখেছেন। তবে নিন্ম আদালত আদেশাংশে যে নির্দেশনা প্রদান করেছেন তা এখতিয়ার বহির্ভূত উল্লেখ করা হয়েছে। বিধায় উক্তরূপ নির্দেশনা অকার্যকর, সে কারণে বর্তমান কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহবান করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
সকলের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ৫ (২) ধারার “গ” তে প্রাকৃতিক দূর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সরকারি নির্দেশনাসহ অন্যান্য অনিবার্য কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব না হলে কার্যকরী পরিষদের মেয়াদকাল ৪৫ দিন বাড়ানো যেতে পারে। যা করোনাকালীন সময়ে বাড়ানো হয়েছিল।
তারপর মামলার আদেশ মতে আরও ৪৫ দিন মেয়াদকাল বাড়ানো হয়। আদালতে প্রতি সম্মান দেখিয়ে সকল সদস্য তা মেনে চলছেন। গঠনতন্ত্রে বিশেষ কারণে ৪৫ দিনের মধ্যেও নির্বাচন করতে ব্যর্থ হলে ৫১ ভাগ সাধারণ সদস্যদের যুক্ত স্বাক্ষরে আহুত সাধারণ পরিষদের সভায় ৫ সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করা যেতে পারে। এর মধ্যে আরও ৪৫ দিন পার হয়ে গেলে কি করতে হবে তা গঠনতন্ত্রে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু উল্লেখ না থাকায় আদালতের নির্দেশ মতে বর্তমান কমিটি বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বানসহ পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনা করে যাবেন।
সুভাষ চৌধুরী ডাকা সাধারণ সভা আদালত অবমাননার সামিল, এক্তিয়ার বহির্ভূত ও গঠণতন্ত্র পরিপন্থী। তার ডাকা সাধারণ সভায় প্রেসক্লাবের কোনো সদস্যকে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।