দেবহাটা ব্যুরো : দেবহাটায় এক বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে কতিপয় ব্যক্তির মিথ্যা ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দেবহাটা রিপোটার্স ক্লাবে বৃহষ্পতিবার ৩০ জুন, ২২ ইং সকাল ১১ টার সময় উক্ত সংবাদ সম্মেলনটি করেন দেবহাটা উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মৃত শহর আলী গাজীর ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা আনছার আলী (যার মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নং ৭৯৬)।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, তিনি গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গেজেটভুক্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৮৭ সালের ২৫ জানুয়ারী তৎকালীন এরশাদ সরকারের সময়ে “দৈনিক ইত্তেফাক” পত্রিকায় বাংলাদেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের খসড়া তালিকা প্রকাশিত হয়। সেখানে তার (আনছার আলী) নাম বৃহত্তর জেলার দেবহাটা উপজেলার তালিকাতে ২১ নং সিরিয়ালে আছে।
বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের ২০০৫ সালের ২৭ জুন প্রকাশিত বেসামরিক গেজেটের ৬৯৪৩ নং পাতায় ২০১ নং সিরিয়ালে তার নাম প্রকাশিত হয়।
আনছার আলী বলেন, ১৯৯৪, ১৯৯৭, ২০১৩ সালে অনুষ্ঠিত মুক্তিযোদ্ধাদের ভোটার তালিকার প্রতিটিতে তার নাম রয়েছে। ২০০৪ সালে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয় থেকে তাকে সাময়িক সনদপত্র প্রদান করা হয় এবং সর্বশেষ গত বছর জামুকা থেকে যে যাচাই বাছাই করা হয় সেখানে সরকার নির্ধারিত যাচাই বাছাই কমিটির সকলের মতামতের ভিত্তিতে ২৫৮ নং ক্রমিকে ০১৮৭০০০৪৫০১ নং পরিচিতি নম্বরে তার নাম মোঃ আনছার আলী, পিতা- শহর আলী গাজী, গ্রাম- বসন্তপুর, ডাকঘর- দেবহাটা, উপজেলা- দেবহাটা, জেলা- সাতক্ষীরা এবং প্রমানকের বিবরন হিসেবে (বেসামরিক গেজেট ৭৯৬) সংরক্ষিত রয়েছে।
তিনি বলেন, উপজেলার বসন্তপুর গ্রামের মোহর আলী (৬৫), পিতা- মৃত দৌলত পাড় গ্রামের একজন দুষ্টু প্রকৃতির লোক। মোহর ইতিপূর্বে চোরাই পথে ব্যবসা করত। বর্তমানে সে একজন জামায়াত কর্মী এবং বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত। নদীতে জাল ফেলাকে কেন্দ্র করে মোহরের সাথে তার কিছুদিন পূর্বে বিরোধ বাধলে সে বিভিন্নভাবে তাকে হয়রানি করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে। খানজিয়া গ্রামের আব্দুস সাত্তার মোহরের আত্মীয় হওয়ার কারনে মোহরের সাথে সাত্তার ও এলাকার আরো ২/৩ জন ব্যক্তি মিলে তার (আনছার) বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক নানাভাবে ষড়যন্ত্র করছে। আনছার আলী বলেন, তিনি দেশের জন্য নিজের জীবন বাজি রেখে পরিবার পরিজন ফেলে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেছেন। যারা তার বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত্র করছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।