আশাশুনি ব্যুরো: আশাশুনিতে মাছ চুরির অপরাধে গ্ৰাম্য শালিশে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের কাটাখালীতে। আয়োজিত গ্ৰাম্য শালিশের প্রধান, স্থানীয় ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন জানান,
চুরি হওয়া মাছ সহ ধরা পড়ার অপরাধে চোর কাটাখালী গ্ৰামের বৈদ সরকারকে নগত ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
তবে শালিশে উপস্থিত অনেকেই বলেছেন নগত ৫০ হাজার টাকার বাহিরে ১০ হাজার টাকার জামিনদার ছিলেন ইউপি সদস্য নাছির উদ্দিন। তবে বাকি ১০ হাজার টাকা কি বাবদ সেটি কেউ বলতে পারেন নি।
উল্লেখ্য, একই দিন খুব সকালে হাজিপুর গ্ৰামের মৃত জালাল গাজীর ছেলে আসিফুর রহমান তুহিন গাজীর কাটাখালী মৌজার বাগদা চিংড়ি ঘের থেকে তার ঘেরের মুহুরী কাটাখালী গ্ৰামের মৃত বাবু চৌকিদারের ছেলে সিরাজুল ইসলাম ঘুনি (চালি) থেকে মাছ চুরি করে পাশ্ববর্তী ঘের মালিক কাটাখালী গ্ৰামের হরিষচন্দ্র সরকারের ছেলে বৈদ সরকার এর ঘেরের বাসায় তার (বৈদ সরকার) কাছে দিয়ে আসে। বিষয়টি জানতে পেরে তুহিন গাজীর ঘেরের অন্য মুহুরী বাবলু চোরাই মাছ সহ বৈদকে ধরে ফেলে। পরবর্তীতে রাতে গ্ৰাম্য শালিশের মাধ্যমে জরিমানা ও অন্যায় শিকারের মাধ্যমে মিমাংশা করা হয়।
তুহিন গাজী প্রতিবেদককে জানান, কয়েক বছর পূর্বে আমার সব মৎস্য ঘের দেখাশুনার দায়িত্বে ছিল বৈদ। খুব কাছের এবং বিশ্বস্ত কর্মচারী থাকার সুবাদে তিনি ঘেরের কোন খোঁজ খবর নিতেন না।
বছর শেষে লাভ-লোকসানের হিসাব দেখতেন তিনি। সে সময়ে বৈদ সরকারের কিছুই ছিলো না। বিগত ৫ বছর আমার এখান থেকে সে চলে গেছে। বর্তমানে প্রায় ২০ বিঘা জমি এবং আমার ঘেরের আইলের সাথেই ৩০ বিঘা জমির মৎস্য ঘের মালিক বনে গেছে সে। ধারনা করা হচ্ছে এভাবেই মাছ চুরি করে টাকার পাহাড় বানিয়েছে সে।
বৈদ সরকার পরপর তিন দিন মাছ চুরির কথা শিকার করে বলেন, আমি হাতে পায়ে ধরে মাফ চেয়ে ও জরিমানা দিয়ে বিষয়টি সমাধান করে নিয়েছি।
এত সম্পত্তি থাকার পরেও চুরির মত জঘন্য পেশার সাথে জড়িত থাকার বিষয়টি নিয়ে এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইতে দেখা গেছে।