সেলিম হায়দার : কপোতাক্ষ নদ থেকে বানিজ্যিক ভাবে অবাধে বালি তোলা হচ্ছে। ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদ থেকে বালি উত্তোলন করে বিক্রয়ের জন্য রাখা হচ্ছে প্রায় একশ ফুট দূরে রাস্তার পাশে।
সাতক্ষীরার তালা উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের জালালপুর হাই স্কুলের সামনে কপোতাক্ষ নদ থেকে এ বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। বালিয়া গ্রামের বালি ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদ’র এর তত্বাবধায়নে এ বালি উত্তোলন করা হচ্ছে।
স্থানীয় এলাকাবাসির অভিযোগ, বছরের ছয় মাস পানির সাথে যুদ্ধ করে বাঁচতে হয় তাদের। এজন্য নদ খনন করে তীরে দেওয়া হয়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ভেড়িবাঁধ। কিন্তু বালি উত্তোলনের কারণে যে কোন সময় ধস্বে পড়তে পারে বন্যা নিয়ন্ত্রণ ভেড়িবাঁধ।
রবিবার (১১জুন) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সরেজমিনে শ্রীমন্তকাটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কপোতাক্ষ নদের ভেতরে ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজারে চার জন শ্রমিক কাজ করছে। এসময় প্রতিবেদকদের দেখে শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। ড্রেজিং মেশিনের বালি জালালপুর হাই স্কুলের সামনে কপোতাক্ষ নদ থেকে এ বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। ড্রেজিং মেশিনের বালি প্রায় একশ ফুট দূরের একটি জমিতে বানিজ্যিক ভাবে বিক্রয়ের জন্য ভরাট করা হচ্ছে।
ড্রেজিং মেশিনের মালিক নফর আলী জানান, তার ড্রেজিং মেশিন দিয়ে বালি ব্যবসায়ী আব্দুল মজিদের বালি উত্তোলন করছেন তিনি। প্রতি ফুট বালি চার টাকা দরে বালি ব্যবসায়ী মজিদের সাথে চুক্তি করে তিনি একাজ করছেন।
বিষয়টি নিয়ে আব্দুল মজিদের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এভাবে অনেকে বালি উত্তোলন করে ব্যবসা করছে। আমি করলে কি দোষ । তাছাড়া আমি স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে বালি উত্তোলন করছি। আমার নামে লিখে কি করবেন, কিছু হবে না। সব ম্যানেজ করে আমি বালি উত্তোলন করছি।
এ ব্যাপারে জালালপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম মুক্তি জানান, আমার জানামতে কোন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা এ বালু ব্যবসার সাথে জড়িত না।
পানি উন্নয়ন বোর্ড কেশবপুরের দায়িত্বে থাকা সাইদুর রহমান জানান, কপোতাক্ষ নদ থেকে বালু উত্তোলন করা সম্পূর্ন অবৈধ। যদি কেউ অবৈধ ভাবে বালি উত্তোলন করে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ফরিদ হোসেন জানান, কপোতাক্ষ নদ থেকে বালি উত্তোলন সম্পূর্ন অবৈধ। বালি উত্তোলনের বিষয়টি তার জানানেই। কেউ বালি উত্তোলন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পূর্ববর্তী পোস্ট