নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা কালিগঞ্জের ধলবাড়িয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় সম্পত্তি অবৈভাবে দখল করতে চিহ্নিত রাজাকার জামির আলী ও তার পরিবার কর্তৃক একের পর এক মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি ও মারপিটের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, কালিগঞ্জ থানার খড়মী গ্রামের আক্তার গাইনের স্ত্রী হালিমা খাতুন।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, কালিগঞ্জ থানার জে এল নং ১৩৬, আশিকুড়া মৌজায় খতিয়ান নং ৩৯, দাগ নং ৩৮ মোট জমির পরিমান ১.৬৬ একর সম্পত্তি আমার শ^শুর মৃত. হামিজ উদ্দীন গাইন ১৩.০৩.১৯৬৩ সাল থেকে ভোগদখলে আসছিলেন। শ^শুরের মৃত্যুর পর থেকে আমার স্বামীসহ স্বামীর ১৪ জন ভাই ও বোনেরা শান্তিপূর্ণভাবে উক্ত সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিলেন।
সম্প্রতি উক্ত সম্পত্তির ডিসিআরও গ্রহণ করেছি আমরা। কিন্তু অত্র এলাকার চিহ্নিত রাজাকার জামির আলী গাজীসহ তার গোষ্ঠীর অত্যাচারে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। একের পর এক আমার স্বামীসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করে যাচ্ছে। মামলার হাত থেকে নারীরাও রক্ষা পাচ্ছে না। এছাড়া ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে রাজাকার জামির আলীর পুত্র রহিম, আমির, রহমান ও জমাত এবং চাচাতো ভাই রুহুল আমিন,হামিদ গাজী, মুজিবরসহ তার পবিরারের সদস্যরা আমাদের বসতবাড়ী ভাংচুর করে কয়েক লক্ষ টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয় এবং আমাদের মারপিট করে মারাত্মক আহত করে।
এর আগে ৯ আগস্ট ২২ তারিখে আমাদের অর্পিত সম্পত্তির উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মৎস্যঘেরের বাসা ভাংছুর করে, আগুন লাগিয়ে দেয়। মাছ লুটপাট করে এবং আমার স্বামীকে হত্যার চেষ্টা। অথচ উক্ত ঘটনায় নিজেরা গরম পানি গায়ে ছিটিয়ে এসিড মারা হয়েছে মর্মে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
কিন্তু চিকিৎসক বলছেন এসিড মারা হয়নি। যেটা ছেটানো হয়েছে সেটি গরম পানি। আমাদের শায়েস্তা করতে গত ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে আমার কলেজ পড়–য়া কন্যাকে জড়িয়ে একটি পরিকল্পিতভাবে নাটক সাজিয়ে যশোর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। মামলাটি বিজ্ঞ আদালত যশোর পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পিবিআই তদন্তে উক্ত মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা প্রমানিত হলে যশোর পিবিআই পুলিশ পরিদর্শক শেখ মোনায়েম হোসেন মামলার বাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পেনাল কোডের ২১১ ধারায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন। তাছাড়া আমাদের পরিবারের ১১ জনের বিরুদ্ধে রাজাকার জামির আলির পুত্র রহিমের স্ত্রী আলেয়া কে বাদী করে আদালতে একটি মিথ্যা ধর্ষন মামলা দায়ের করে। উক্ত মামলার এজাহারে ধর্ষনের সময় উল্লেখ করা হয়েছে বেলা ১২টা। বেলা ১২টায় প্রকাশ্যে ১২ পুরুষ কোন নারীকে ধর্ষন করে অথচ এলাকাবাসী কেউ বিষয়টি জানবে না এটা কিভাবে সম্ভব? এছাড়া জামির আলী তার অন্য পুত্র আমীর স্ত্রী মর্জিনাকে বাদী করে একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করে। যার নং- সি আর ৪/২১। শুধুমাত্র অবৈধভাবে আমাদের দখলীয় সম্পত্তি দখল করতে একের পর এক মিথ্যা মামলা দায়ের করে হয়রানিসহ নানানভাবে হয়রানি করে দিশেহারা হারা করে তুলেছে ওই রাজাকার জামির আলী। জামির আলী অত্র এলাকার চিহ্নিত রাজাকার। তার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলার দাবিতে বীরমুক্তিযোদ্ধা শ্রী বিষ্ণুপদ মিস্ত্রি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই অত্যাচারী রাজাকার জামির আলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে গ্রামবাসী গণস্বাক্ষরও করেন। তিনি জামির আলীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন পূর্বক আমাদের সম্পত্তি রক্ষাসহ মিথ্যা মামলার দায় হতে অব্যাহতি পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।