নিজস্ব প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় বিদ্যালয়ের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং প্রধান শিক্ষককে মারপিটের মামলার বাদীকে হুমকি-ধামকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা তুলে না নিলে বিদ্যালয়ে যেতে দেওয়া হবে না মর্মে হুমকি প্রদর্শন করা হচ্ছে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী আনছার আলী। এঘটনায় মামলার বাদী ও চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান আনছার আলী নিরাপত্তা চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
জানা গেছে, চন্দনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা মোছা: সাহানিমা আক্তার লতা এবং পার্থ সারথী মজুমদার স্কুলের কোন নিয়ম শৃঙ্খলা মানে না। ইচ্ছামত স্কুলে আসা যাওয়া করে। এনিয়ে প্রধান শিক্ষক আনছার আলী প্রতিবাদ করায় তার সাথে বিরোধের সৃষ্টি হলে সাহানিমা আক্তার লতা প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন হুমকি ধামকিও প্রদর্শন করে।
একপর্যায়ে গত ২৫ আগস্ট ২২ তারিখ সকালে স্কুলের স্বার্থ পরিপন্থি কাজের বিষয়ে সাহানিমা আক্তার লতার কাছে প্রধান শিক্ষক জিজ্ঞাসা করলে সাহানিমা আক্তার লতা অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ শুরু করে। সে সময় শিক্ষক পার্থ সারথী মজুমদার যৌথভাবে প্রধান শিক্ষকের উপর চড়াও হয়। এরপর শাহানিমা আক্তার তার স্বামী যশোরের শার্শা উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের নুরুজ্জামান লাল্টুকে ফোন করে বিদ্যালয়ে ডাকেন। লাল্টু দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তার ছোট ভাই শাহিদুজ্জামান বেল্টুসহ ৪/৫ জন ব্যক্তিকে নিয়ে ওই বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং প্রধান শিক্ষকের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে হাড়ভাঙ্গা জখম করে। ছিনিয়ে নেওয়া হয় স্মাট ফোনসহ নগদ টাকা। সে সময় প্রধান শিক্ষকের ডাক চিৎকারে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে আসলে তাদেরও অকথ্য ভাষায় গালি গালজ করে। এঘটনায় ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক আনছার আলী কলারোয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করে। যার মামলা নং- ৪২, তাং ৩০/০৮/২০২২। উক্ত মামলায় থানা পুলিশ ২নং আসামী শাহিদুজ্জামান বেল্টুকে আটক করে কারাগারে প্রেরন করে। মামলার অন্যান্য আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে বিভিন্ন অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষক জানান, শিক্ষক সাহানিমা আক্তার লতার স্বামী নূরুজ্জামান লাল্টু ও দেবর শাহিদুজ্জামান বেল্টু শার্শা উপজেলার ভবানীপুর এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত। লতার স্বামীর নিদৃষ্ট কোন পেশা নেই। স্ত্রীর উপার্জনে নির্ভরশীল থেকে এলাকায় বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়ায়। তার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরার আদালতে একটি ধর্ষন মামলাও রয়েছে। যার নং- ১২/২২।
তিনি আরো বলেন, আসামীরা জামিনে মুক্তিপেয়ে বিদ্যালয়ের যাওয়ার আসার পথে জান খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে যাচ্ছেন। তিনি এঘটনায় সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের কাছে নিরাপত্তা দাবি করেছেন।
এদিকে, বিদ্যালয়ের মধ্যে প্রবেশ করে প্রধান শিক্ষককে মারপিট ও ভাংচুরের ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। শত শত শিক্ষার্থীদের সামনে একজন শিক্ষাগুরু কে মারপিট করার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী অবিলম্বে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি নিশ্চিত করাসহ বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।