যশোর প্রতিনিধি : যশোর জেলাকে বিভাগ ও পৌরসভাকে সিটি করপোরেশন ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ।
যশোর-৩ (সদর) আসনের এই সংসদ সদস্য পৌরসভার নামে চাঁদাবাজি ও অবৈধ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও জোর দাবি তোলেন।
মঙ্গলবার প্রস্তাবিত ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি জানান।
নির্বাচনি এলাকায় যশোরের উন্নয়নে সরকারের কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশের প্রথম ও মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শত্রুমুক্ত যশোর এবং দেশের প্রথম জিডিটাল এই জেলার প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ নজর রয়েছে। গত সাড়ে তিন বছরে এই জেলার উন্নয়নে এক হাজার কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চলছে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ। ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে শেখ হাসিনা শফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, দুইশ কোটি টাকা ব্যয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, ৪১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ, সড়ক ও মহাসড়ক নির্মাণ ও সংস্কারসহ চলছে নানা উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড।’
যশোরবাসী শেখ হাসিনা আইটি পার্ক, ভৈরব নদ খননসহ যশোরের চলমান উন্নয়ন কর্মসূচিগুলো উদ্বোধনের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন বলে জানান স্থানীয় এই সংসদ সদস্য।
পর্যটন করপোরেশনের মাধ্যমে যশোরে একটি পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণের দাবি জানিয়ে সরকার দলের এমপি বলেন, ‘এখানে পাঁচ তারকা মানের মোটেল নির্মাণ করা হলে সেটা বাণিজ্যিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি, এই জেলা ব্যবসা বাণিজ্য, ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও বড় শহরে পরিণত হবে।’
শহরের কিছু সমস্যার কথা তুলে ধরে তা সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কাজী নাবিল। তিনি বলেন, ‘স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি নিয়ে নিষেধ করা সত্ত্বেও শহরের বিভিন্ন স্থানে টোলঘর বসিয়ে বিভিন্ন পরিবহন থেকে পৌরসভার নামে চাঁদা আদায় অব্যহত রাখা হয়েছে। শহরের পানবাড়ি মোড়ে একটি কমিউনিটি সেন্টারে একাধিক জুয়ার বোর্ড বসিয়ে এবং অবাধে মাদক বিক্রির মাধ্যমে তরুণ সমাজকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এর সঙ্গে জড়িতদের এবং তাদের পৃষ্ঠপোষকদের আইনের আওতায় আনা জরুরি।’
বাজেট প্রসঙ্গে কাজী নাবিল আহমেদ বলেন,‘বাজেটকে সময়োপযোগী বলা হলেও এটি নিয়ে কারও কারও মনে অস্বস্তি রয়েছে। ১৫ শতাংশ ভ্যাট,আয়করমুক্ত সীমা না বাড়ানো ও ১২শ পণ্যে সম্পূরক শুল্ক আরোপ করায় ভোক্তাদের ওপর করের হার বাড়বে। বাজেট ঘোষণার পরপরই ফ্ল্যাটের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এখন ইট, বালি, সিমেন্ট ও রডের ওপর ১৫ শতাংশ কর আরোপ করা হলে ফ্ল্যাট মানুষের ক্রয় সীমার বাইরে চলে যাবে ।’
শেয়ারবাজারে সব ধরনের সেবার ওপর ভ্যাট অব্যাহতিসহ এ খাতে সরকারের পদক্ষেপে মানুষের আস্থা বাড়বে বলে মনে করেন সরকার দলের এই এমপি।