নিজস্ব প্রতিনিধি : সাতক্ষীরা থেকে খুলনাসহ জেলার বেশ কয়েকটি রুটে শুক্রবার সকাল থেকে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে ব্যাপক দূর্ভোগে পড়েছেন শিক্ষার্থীসহ সাধারণ যাত্রীরা। ফলে সাতক্ষীরায় দূর-দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীরা আটকে পড়েছেন।
বিশেষ করে খুলনাগামী যাত্রীরা পড়েছেন মহাসংকটে। অনেকে আবার নিয়োগ পরীক্ষা দিতে পারেনি পরিবহন সংকটের কারণে। তবে সকাল থেকে সাতক্ষীরা -আশাশুনি ও সাতক্ষীরা- কালিগঞ্জ সড়কে কিছু সংখ্যাক বাস চলাচল করতে দেখা গেছে।
খুলনায় ২২ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন মালিক-শ্রমিকরা। তাই শুক্রবার ও শনিবার খুলনার উদ্দেশ্যে কোনো বাস চালাতে মালিক-শ্রমিকরা রাজি হচ্ছেনা বলে জেলা বাস-মিনিবিাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এসব যুক্তি নাকচ করে দিয়ে বিএনপি নেতারা বলছেন, খুলনায় বিএনপির সমাবেশ বাঁধাগ্রস্থ করতে এমন হটকারী সিদ্ধান্ত মালিক-শ্রমিকদের। সাতক্ষীরার ৯টি রুটের মধ্যে ৮টি রুটে বাস চলাচলের দাবী করা হলেও সাতক্ষীরা থেকে খুলনাগামী কোন ধরণের যানবাহন চলাচল করছেনা।
সাতক্ষীরা জেলা স্বেচ্ছা সেবক দলের সভাপতি এম সোহেল আহমেদ মানিক জানান, অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে খুলনা বিভাগীয় বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নির্দেশে শুক্রবার ও শনিবার বাস চলাচল বন্ধ রাখার কথা বলা হলেও শুধুমাত্র খুলনায় কোন বাস যাচ্ছে না। অন্যান্য রুটে কম বেশি বাস চলাচল করছে। ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করতে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে সমাবেশে যোগ দিতে ইতিমধ্যে বিএনপির ৩০ভাগ নেতাকর্মী খুলনায় পৌছে গেছে। বাকিরা বিভিন্ন মাধ্যমে আজ দিনভর যাবে। এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন ঘটাতে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছে বলে দাবী করেন এই নেতা।
সাতক্ষীরা জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির আহবায়ক সাইফুল করিম সাবু জানান, সড়কে অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে খুলনায় ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় শুধুমাত্র সাতক্ষীরা থেকে খুলনাগামী সকল ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও জেলা থেকে ৮টি রুটে ঢাকা যশোরসহ জেলার অভ্যন্তরে গাড়ি চলাচল করছে। তবে সব ক্ষেত্রে তেমনটি দেখা যায়নি। জেলার আভ্যন্তরিন কয়েকটি রুটে গাড়ি চলাচল করতে দেখা গেছে।
সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির আহবায়ক এড: সৈয়দ ইফতেখার আলী জানান, সাতক্ষীরা থেকে কয়েক হাজার নেতাকর্মীরা খুলনার বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিবেন। তবে খুলনার পরিবহন বন্ধ করে দিয়ে সড়কে এবং নৌপথে বিএনপির নেতাকর্মীদের খুলনায় আসতে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করছে আইনশৃঙখলাবাহিনী ও প্রশাসন। এরপরও মটর সাইকেল ও ব্যক্তিগত যানবাহন সহ বিকল্প পথে সাতক্ষীরা থেকে অন্তত ৫/৬ হাজার নেতাকর্মী খুলনায় এসে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দিবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।