অনলাইন ডেস্ক :
দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী এরতেজা হাসান। দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী এরতেজা হাসান।
দৈনিক ভোরের পাতার সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী এরতেজা হাসানকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শুক্রবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আহাম্মেদ এই আদেশ দেন।
আজ দুপুরের পর এরতেজা হাসানকে একদিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মেহেদী হাসান মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে জামিনের আবেদন করেন এরতেজা হাসানের আইনজীবী।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গত বুধবার তাঁকে একদিনের রিমান্ডে দেওয়া হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর গুলশান-২-এর অফিস থেকে কাজী এরতেজাকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। আসিয়ান সিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নজরুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলামের করা একটি মামলায় পিবিআই তাঁকে গ্রেপ্তার করে। গত ১ জানুয়ারি খিলক্ষেত থানায় মামলাটি করেন সাইফুল ইসলাম। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ, রিয়াজুল আলম ও সেলিম মুন্সী।
পরে পিবিআই তদন্ত করে কাজী এরতেজা হাসানের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কাজী এরতেজা হাসান ভোরের পাতা ও ইংরেজি দৈনিক পিপলস টাইমসের সম্পাদক।
মামলার এজাহারে সাইফুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য ২০১৩ সালের প্রথম দিকে আসিয়ান সিটির কাছ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জমি কেনার প্রস্তাব দেয়। দক্ষিণখানে আসিয়ান সিটির ‘আসিয়ান ল্যান্ড ডেভেলপমেন্টস’ প্রকল্পে ২০১৩ সালের ৩ আগস্ট দুই পক্ষের মধ্যে একটি স্ট্যাম্পে ৫০ কোটি টাকায় পাঁচ বিঘা জমি কেনার চুক্তি হয়। ওই বছরের ৩০ আগস্টের মধ্যে দুই দফায় আসিয়ান সিটিকে তাঁরা ৩০ কোটি টাকা দেন। বাকি ২০ কোটি টাকা আর দেননি। কয়েক দফায় চাওয়ার পরও ২০১৯ সাল পর্যন্ত আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা। এদিকে ২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুরু করেন আসামিরা।
এ সময় আসিয়ান সিটি বাকি টাকা চাইলে আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ জানান, তাঁদের কাছে আর কোনো টাকা পাওনা নেই। সব টাকা পরিশোধ হয়েছে। তাঁরা একটি রেজিস্ট্রি দলিলও দেখান। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে ওই দলিলটি জাল।
এদিকে কাজী এরতেজা সম্পর্কে তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন, আসামি সরকারি বিভিন্ন অফিস বিশেষ করে সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যবহার করে জাল দলিল তৈরি করেন। তিনি বাড্ডা সাব রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যবহার করে জাল দলিল করেছেন বলে মামলার তদন্তে জানা গেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানা গেছে। যা তদন্তে যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।