নিজস্ব প্রতিনিধি :
আশাশুনির কুল্যায় যাতায়াতের রাস্তা অবৈধভাবে দখল করতে না পেরে মারপিট করে উল্টো আমাদের নামে জড়িয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, আশাশুনির কচুয়া গ্রামের পঞ্চরাম দাসের পুত্র প্রভাস চন্দ্র দাস। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, গ্রামের বাড়িতে আমার ভাইয়েরা থাকে। সেখানে আমার তেমন একটা যাতায়াতও নেই। কিন্তু গত ২৫ নভেম্বর কচুয়া গ্রামের পরিতোষ দাসের পুত্র অলিপ কুমার দাস সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে। সেখানে আমাকে জড়িয়ে নানা মিথ্যাচার করা হয়েছে। অথচ প্রকৃতপক্ষে যাতায়াতের রাস্তা একই এলাকার মৃত কেদার দাসের পুত্র গোপাল দাস, পরিতোষ দাস, দুলাল দাস, মৃত নছুবর দাসের পুত্র বুধু দাস, বুধু দাসের পুত্র রাম প্রসাদ দাস, বুধু দাসের স্ত্রী লহ্মীরানী দাস, পরিতোষের স্ত্রী গীতা দাস, পরিতোষের পুত্র অলিপ, ভোলা দাস, বল্লব দাসের স্ত্রী শিখা দাস দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন। ফলে আমার ভাই ও এলাকার বহু মানুষ এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে। কিন্তু উল্লেখিত ব্যক্তিরা ওই রাস্তা অবৈধভাবে দখল করতে রাস্তায় প্র¯্রাব করা, গবর রাখা এবং ভাঙ্গা কাচের টুকরো রেখে দিত। এ নিয়ে আমার ভায়েরা আদালতে একটি মামলাও দায়ের করে। উক্ত মামলায় আদালতে রাস্তা উন্মুক্ত করতে নির্দেশ দেন।
সে অনুযায়ী এনিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ওমর সাকি পলাশ, মেম্বর মো: কাদের সানাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে রাস্তাটি উন্মুক্ত করা হয়। সে সময় তারা কিছু না বললেও কয়েকদিন পর অথ্যাৎ ২১ নভেম্বর অলিপের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উল্লেখিত ব্যক্তিরা আমার বড় ভাই সন্তোষ দাস, ভাইপো মনু দাস, নন্দ দাস ও মঙ্গল এর উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারপিট করে। এঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এবং আমার ভাইসহ নিরিহ গ্রামবাসীকে ফাঁসাতে পরিতোষের মাদকাসক্ত পুত্র অলিপ দাস এধরনের মিথ্যাচার করেছেন। এছাড়া যে দিন অলিপগং মারপিট করতে আসে সেদিন আমি সাতক্ষীরাতে কলেজেই ছিলাম। আমি মারপিটের ঘটনাটি পরে শুনেছি। কিন্তু তারপরও আমাকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে এবং হয়রানি করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা হয়েছে। আমি কলেজ শেষে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর সাহাপাড়া এলাকায় পল্লী চিকিৎসকা সেবা প্রদান করি। অলিপ দাস ও তার ভাই ভোলা দাস নেশাগ্রস্থ। তারা মহিলাদের অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ করে। এছাড়া বসতীপূর্ণ এলাকায় পাঠা ছাগল পালন করে এলাকার পরিবেশ দূর্ষিত করে তুলেছে। ফলে সেখানে বসবাস অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রভাষ চন্দ্র দাস, স্বপন দাস, জ্যোতিন দাস, জগি দাস এবং খোকন দাসের ক্রয়কৃত সম্পত্তি জরব দখল করে রেখেছে অলিপের বাবা পরিতোষ, কাকা গোপাল দাস, দুলাল দাস ও বল্লভ দাস। ভুক্তভোগীরা জমিতে গেলে খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শন করে। তাদের সকল অপকর্মের অর্থদাতা পরামর্শ দাতা এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন গোপাল দাস। আমি পল্লী চিকিৎসক হওয়ায় বিভিন্ন স্থানে যেতে হয়। বর্তমানে অলিপ ও তার কাকা গোপাল দাসের কারনে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। স্থানীয় বিরোধের বিষয়কে পুজি করে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এধরনের মিথ্যাচার করে অলিপ দাস সংবাদ সম্মেলন করে। তিনি উক্ত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবং মিথ্যাচার কারী অলিপ দাসসহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।