প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাতক্ষীরার শ্যামনগরের নকিপুর বাজারের সরকারি পেরিফেরিভুক্ত ইজারা দেওয়া সম্পত্তি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে অবৈধভাবে ইউনিয়ন ভূমিসহকারী কর্মকর্তা কর্তৃক ব্যক্তি মালিকানায় রেকর্ড করিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন, মাহমুদপুর গ্রামের মৃত. ডা: আতাউর রহমানের পুত্র ইকবাল হোসেন।
তিনি বলেন, ৯৪নং চন্ডিপুর মৌজার এস,এ- ১নং খতিয়ানের ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪নং দাগের ১০শতক জমি। নকিপুর বাজারের দোকান শ্রেণির সরকারী পেরিফেরি ভুক্ত সম্পত্তি আমরা ৭টি নামে গত ২০০২ সন হতে চান্দিনা লাইসেন্স’র মাধ্যমে সহকারী কমিশনার (ভুমি) শ্যামনগর অফিস হতে ইজারা নিয়ে দোকান পাট করে ভোগ দখলে আছি।
সে মোতাবেক সরকারী করাদি পরিশোধ করে আসছি। গত ২০১৫ সালে শ্যামনগর সেটেলমেন্ট অফিসে উক্ত সম্পত্তি সম্পন্ন বে-আইনি ভাবে কাগজপত্র ও দখল ছাড়া রেকর্ড করার জন্য জনৈক বাসন্তি রাণী গায়েন দিং বাদী হয়ে ৫৯৮৭৪/১৫নং আপীল কেস দায়ের করলে কেসটি শুনানীতে বাদী পক্ষে যে কাগজপত্র, নামপত্তন ও দলিলপত্র উপস্থাপন তার বন্দোবস্ত, দাগ ও দখল পজেশন ৬৭৫ সাবেক দাগের অন্য হালদাগে থাকায় নামপত্তন সঠিক নয় এবং তার ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪ নং দাগে কোন দখল নাই বলে তৎকালীন দায়িত্বে থাকা শ্যামনগর সদর ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা আবু বক্কার সিদ্দিক জানান। ৮২/৯৬ নং ডিগ্রি মোতাবেক ১/১৪নং সে নামপত্তন উপস্থাপন করে তা সঠিক নয় বলে উল্লেখ করার পর আপীল অফিসার বাদী পক্ষের দাবী না মঞ্জুর করে।
উক্ত আপীল কেসের রায়ের ৪ বছর পর ৫৯৮৭৪/১৫নং আপীল কেসের বাদী ৪২(ক) ধারা মোতাবেক পুনঃ বিচারের আবেদন করলে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিস হতে ২৪/১২/২০২০ তারিখে তদন্তপূর্বক মতামত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। সেই মোতাবেক শ্যামনগর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার মাহাতাব উদ্দিন সরেজমিনে দখল করার জন্য অত্র অফিসের সার্ভেয়ার রঞ্জিত চন্দ্র সূত্রধর ০৪/০২/২০২১ সালে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করেন। সেখানে তিনি ৯৪নং চন্ডিপুর মৌজার সাবেক ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪নং দাগে ২০শতক জমির মধ্যে ১০শতক জমি ২৭নং বাদঘাটা মৌজাভুক্ত এবং বাকী ১০শতক জমি ৯৪নং চন্ডিপুর মৌজা ভুক্ত। উক্ত ১০ শতক জমির মধ্যে অত্র আপীল কেসের বাদী পক্ষ বাসন্তী রাণী দিং ০.০০৭৫ একর জমি ভোগ দখল করেন এবং সাবেক ১২৯ দাগের হাল ৮৭১ দাগের ০.০২৫০ একর একুনে ২ দাগে মিলে ০.৩২৫ একর জমি পাকা ঘর বাড়ী করে ভোগ দখল করেন এবং বিরোধীয় সাবেক ৬৭৫ দাগের হাল ১০৪৪নং দাগে বাকী ০.০৯২৫ একর জমি তৃতীয় পক্ষ তথা আমরা দীর্ঘ ৩৫-৪০ বৎসর যাবৎ দোকান ঘর করিয়া ভোগ দখলে আছেন এই মর্মে তদন্ত রিপোর্ট দাখিলের পর সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার তদন্তপূর্বক মতামত দাখিল করলে জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার পুনঃ বিচার আবেদন স্থগিত রাখেন। তিনি বদলীর পর বর্তমান জোনাল সেটেলমেন্ট অফিসার উক্ত আপীল কেসের উপর মহাপরিচালক ভূমি রেকর্ড জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক গত ৪ জুলাই‘২২ তারিখের নির্দেশ মোতাবেক প্রজাস্বত্ব বিধিমালা ১৯৫৫ এর ৪২(ক) বিধিতে ৬৭৪/২২নং মিস মামলা দায়ের করে গত ১৫ সেপ্টেম্বর‘২২ তারিখে শুনানী গ্রহণ করেন। বাদী পক্ষ ২জন থাকলেও পরে বে-আইনিভাবে মলয় কুমার গাইনকে মোঃ আকবার হোসেন বাদী ভুক্ত করেন এবং ১নং বাদী বাসন্তি রাণী গাইন ৮২/৯৬ দেওয়ানী মামলার সরকার থেকে ডিক্রি মুলে ০৬শতক জমির মালিক হন কোন নামপত্তন করেনি। ২নং বাদী সুমিতা রাণী বৈদ্য ২২/৯০-৯১নং কেসে এবং ২০৮৭, ২৮/০৪/৯১নং দলিলের বন্দোবস্ত মুলে ৩৪০/৯১-৯২ মিস কেসের মাধ্যমে নিজ নামে নাম পত্তন করে ৬৭৫ দাগের ০৪ শতক জমি দাবী করেন। যে দানপত্র দলিল উপস্থাপন করিয়াছেন তা সঠিক নয়, জাল দলিল। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ভূমিসহকারী কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মাদ আলীকে ম্যানেজ করে সম্পূর্ণ বে-আইনিভাবে সরকারী সম্পত্তি নিজ নামে রেকর্ড নিয়েছেন এবং মলয় কুমার গায়েন কোন জমির মালিক না হয়েও জাল, জালিয়াতি কাগজপত্র তৈরী করে নিজ নামে ৭৬৩নং ডিপি খতিয়ানে ০৮ শতক জমি রেকর্ড নিয়েছেন। আর এই সকল বিষয়ে শ্যামনগর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা গাজী মোহাম্মদ আলী আর্থিকভাবে লাভের জন্য, লোভের বশঃবর্তী হয়ে ডি,সি,আরকৃত সম্পত্তি অন্য ব্যক্তির নামে রেকর্ড দিতে সহযোগিতা করেন। কিন্তু আদৌ উক্ত সম্পত্তি ময়ল কুমারের দখলে ছিলো না। বর্তমানেও নেই। তিনি সকল কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে ব্যক্তিমালিকানায় রেকর্ড বাতিল পূর্বক ডিসিআর গ্রহনকারীদের অনুকুলে ফিরিয়ে দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।