বিদেশের খবর: আফগানিস্তানে নারীদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া বন্ধ ঘোষণা করেছে তালেবান সরকার। এর প্রতিবাদে রাজধানী কাবুলে একদল নারী বিক্ষোভ করেছেন। সেখান থেকে অন্তত পাঁচ নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া সেখান থেকে আরো তিন সাংবাদিককেও আটক করা হয়।
এদিকে তাখার প্রদেশেও বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার দেশটির সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়েদের উচ্চশিক্ষা নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তালেবান সরকার। পরদিন (বুধবার) ছাত্রীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গেলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে দেননি। খবর এএফপি ও বিবিসির।
একজন বিক্ষোভকারী জানিয়েছেন, কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে নারী পুলিশ কর্মকর্তারা গ্রেপ্তার করেছেন। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া নারীদের পরনে হিজাব ছিল। তাঁদের কেউ কেউ মুখও ঢেকে রাখেন। বিক্ষোভকারীদের কাবুল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জড়ো হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানে বিপুলসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যের উপস্থিতি থাকায় তাঁরা তা পারেননি।
তালেবানের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এরই মধ্যে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার, সৌদি আরবসহ বেশ কিছু মুসলিম দেশ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।
আফগানিস্তানে ছাত্রীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করার প্রতিবাদে পরীক্ষা বর্জন করেছেন ছাত্ররা। ছাত্রীদের প্রতি সংহতি জানিয়ে নানগারহার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা পরীক্ষা বর্জন করেন। প্রতিবাদ করেছেন কান্দাহারের ছাত্ররাও। এ সময় তাঁদের হাতে প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
এ প্রসঙ্গে তালেবান সরকারের উচ্চ শিক্ষাবিষয়ক মন্ত্রী নেদা মোহাম্মদ নাদিম রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, ড্রেস কোড (পোষাক বিধি) অনুসরণ না করায় নারীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা এমন পোশাক এসেছিল যেন মনে হচ্ছলি তারা কোনো বিয়ের অনুষ্ঠানে যাচ্ছে,’ যোগ করেন মন্ত্রী