আসাদুজ্জামান : ভারত থেকে অবৈধপথে বাংলাদেশের আনার সময় সাতক্ষীরার বাঁশদাহ সীমান্ত থেকে আটককৃত অ্যারাবিয়ান ঘোড়া বাংলাদেশ আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার সকালে সাতক্ষীরার ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে বিজিবির খুলনার সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল মামুনুর রশিদ উক্ত ঘোড়াটি বাংলাদেশ আনছার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপ-পরিচালক শাহ আহমদ ফজলে রাব্বির হাতে হস্তান্তর করেন।
এ সময় সেখানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সাতক্ষীরাস্থ ৩৩ ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল আল-মাহমুদ, জেলা আনছার কমান্ডার মোরশেদা খানমসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এবং বিজবি ও আনসার কর্মকর্তাগণ।
বিজিবির সেক্টর কমান্ডার এ সময় বলেন, চলতি বছরের গত ১৫ আগষ্ট তারিখে ভারত থেকে অবৈধপথে বাংলাদেশের আনার সময় সাতক্ষীরার বাঁশদাহ সীমান্ত এলাকা থেকে ৩৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন কুশখালী বিওপি‘র একটি বিশেষ টহলদল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে উক্ত অ্যারাবিয়ান ঘোড়াটি উদ্ধার করে। ঘোড়াটি ঞযৎড়ঁমযনৎবফ (থ্রোব্রেড) জাতের। ইুবৎষু ঞঁৎশ (বার্লিট্রাক), উধৎষবু অৎধনরধহ (ডার্লিঅ্যারাবিয়ান), এড়ফড়ষঢ়যরহ অৎধনরধহ (গোল্ডপিন অ্যারাবিয়ান) তিনটি জাত ব্রিডিং করে সৃষ্ট এই জাত। ঘোদৌড়ের জন্য এ জাতের ঘোড়ার বিশ্বব্যাপি ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এ জাতীয় ঘোড়া শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্যে বিশেষ করে আরব রাষ্ট্রসমূহে প্রজনন করা হয়ে থাকে। ইন্টারনেট থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী এ জাতের ঘোড়ার বয়স, উচ্চতা ও দৌড়ের দক্ষতা অনুযায়ী আনুমানিক মূল্য দেড় থেকে তিন কোটি টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এই জাতের ঘোড়া সাধারণত অন্যান্য ঘোড়ার মতো, তাজা ঘাস, মানসম্পন্ন খড়, শস্য এবং কিছু সম্পূরক ফল এবং শাকসব্জি খেয়ে থাকে। উক্ত ঘোড়াগুলো সাধারণত ২৫-৩০ বছর বেঁচে থাকে কিন্তু সুষ্ঠুভাবে লালন পালন করলে ৪০ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ##