জাহাঙ্গীর আলম লিটন : কলারোয়া উপজেলার কাজিরহাট বাজারে মনি- মফিজুল নামে খসাইখানায় দীর্ঘদিন ধরে মরা ও গর্ভবতী গরুর মাংস বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার (২১ শে জানুয়ারি ) সদ্য বাচুর জন্ম নেওয়া মৃত পিরাই গরু জবাই অবস্থায় যুগিখালী ইউনিয়নের গাজনা গ্রামের সাত্তার মাস্টারের বাড়ি হতে কুড়ায় করে ফিরে আসার সময় রাত আনুমানিক ১ টায় নাইট গার্ড সাগর হোসেন মনি-কসাই সহ ইঞ্জিন ভ্যান আটক করে,তাৎক্ষণিক বাজারের সভাপতি সুমন হোসেন কে জানান। সভাপতি সুমন হোসেন বাজারে এসে মনিকসাই সহ ৪ জনকে পুলিশ হেফাজতে দেন। কলারোয়া থানার এসআই বাবুল মৃত্যু গরু জবাই অবস্থায় পেয়ে অভিযুক্ত কসাই,কেরালকাতা ইউনিয়নের কাউরিয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম এর পুত্র মনিরুল ইসলাম সহ ৪জনকে আটক করে।
এই বিষয়ে প্রত্যক্ষদর্শী আল-আমিন হোসেন জানান। নাইট গার্ড সাগর হোসেন প্রথমে ইঞ্জিন ভ্যানটি পাপোশ দিয়ে ঢাকা দেখে তার সন্দেহ হয়,ভ্যানটি থামতে বললে না থেমে চলে যেতে থাকলে নাইট গার্ড সাগর তাকে আটকেদেয় পরে বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদ বাজারে এসে মনি কসাই সহ ৪ জনকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে ।
এই বিষয়ে সাত্তার মাস্টারের বড় ভাই জানান যে আমরা গরু বিক্রয় করতে চাইনি কিন্তু জোর পূর্বক কাজিরহাট বাজারের মনি কসাই গরুটি নিয়ে বিপদে ফেলেছে আমার গরু গেছে টাকা গেছে মানসম্মান ও নেই।
পুলিশ কি জন্য নিয়ে গেছে আপনাদের জানতে চাইলে সাত্তার মাস্টার এর ভাবি জানান গরুর শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল ডাক্তার আর কোন চিকিৎসা দেবেন না বলে জানান সেই সময় বাচুর মারা গিয়েছিল তখন কসাই মনি চিড়িয়াখানায় মাংস দিবে বলে গরুকে নিয়ে যায় এতে আমাদের মান-সম্মান নষ্ট হয়েছে, পুলিশের টাকা দিয়েছেন কিনা এ বিষয়ে জানলে তিনি জানান তাদেরকে কিছু মিষ্টি খাওয়ার জন্য টাকা দেওয়া হয়েছে।
অভিযুক্ত মনিকসাই কাছে গরুর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান আমরা দালালের মাধ্যমে গরু সংগ্রহ করি এবং সবাইকে ম্যানেজ করেই বিক্রয় করি, আপনারা সাংবাদিক টাকা দিলে আর লিখবেন না।
এই বিষয়ে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মৃধা জানান গরুটি মরাছিল যাহাতে মাংস বিক্রয় না করতে পার সেই জন্য গরুটা দাফন দিয়েছি,এবং কসাইদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছি।