মনোবিজ্ঞানের মাস্টার্সের ছাত্র টিমোথি পিরকো টমলিন এবং পশু চিকিৎসক গ্যাব্রিলা স্যান্ডারবার্গ ঠিক করেছেন সাত দেশ ঘুরে সেইসব দেশের প্রথা অনুসারেই ৭টি বিয়ে করবেন। তার যেমন ভাবনা তেমন কাজ, বেরিয়ে পড়লেন বিবাহ সফরে। হাতে মাত্র চল্লিশটা দিন। বিয়ে করতে হবে সাতবার।
গত ১৮ মে আমেরিকার আটলান্টার এই বাসিন্দার প্রথম বিবাহ অনুষ্ঠিত হল জাপানের টোকিয়োতে। জাপানি কিমোনোস পোশাকে শিন্তো প্রথা মেনে চার হাত এক হল টিমোথি ও গ্যাব্রিলার। কনে জানায়, “জাপানি বিয়ের অনুষ্ঠানটি ছিল সংক্ষিপ্ত। সম্পূর্ণটা মিটতে সময় লেগেছিল ৩০ মিনিটের মতো।
জাপান থেকে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে উড়ে গেল এই মার্কিন দম্পতি। সেখানে ৩০ মে বসল দ্বিতীয় বিয়ের আসর। একেবারে ঘরোয়া আবহে ধান ক্ষেতের মধ্যে তৈরি হল বিবাহ মঞ্চ। টিমোথি-গ্যাব্রিলা ছাড়া সেই বিয়ের একমাত্র সাক্ষী ও অতিথি হলেন আমেরিকা থেকে উড়ে আসা তাদেরই এক বন্ধু।
বিবাহ নাম্বার তিন। এবার নেপালের পাটান। আগে থেকেই এক বৌদ্ধ সন্যাসীর সঙ্গে যোগাযোগ সেরে রেখেছিল দম্পতি। সেই অনুযায়ী, দোসরা জুন স্বর্ণ মন্দিরের নিকটে নিজেদের তৃতীয়বারের জন্য বেঁধে নিলেন টিমোথি-গ্যাব্রিলা।
চতুর্থ বিয়ের জন্য ভারতকে বেছে নিয়েছিলেন তারা। ৭ জুন চেন্নাই শহরে গ্যাব্রিলার অধ্যাপক মোহন কুমারের বাড়িতেই আয়োজন হল ছাত্রীর চার নম্বর বিয়ের। পূজারির উপস্থিতিতে একেবারে অগ্নিসাক্ষী করে বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে সম্পূর্ণ হল বিবাহ অনুষ্ঠান।
ভারত থেকে তাদের পরের গন্তব্য কেনিয়া। সেখানে মাসাইমারাতে বর্তমান সপ্তাহেই মাসাই পরম্পরায় আদিবাসী পোশাক পরে পঞ্চম বিবাহ সেরেছেন মনোবিজ্ঞানের ছাত্র এবং পশু চিকিৎসক।
ছয় নম্বর বিয়েটা এই দম্পতি সারবেন আকাশে। ‘হট এয়ার বেলুনে’র মধ্যে ষষ্ঠ বিবাহ সুসম্পন্ন করার পরিকল্পনা নিয়েছেন টিমোথি-গ্যাব্রিলা। তবে শুধু তারা নয়, এই বিয়েতে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে উভয়ের মা-বাবা ও গ্যাব্রিয়েলের ভাইয়েরও। আর শেষ বিয়ে কোথায়?
শেষ তথা চূড়ান্ত বিয়েটি হবে আমস্টারডামে ক্যাথলিক নিয়মে। উপস্থিত থাকবেন বহু আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুবান্ধবরা।