সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে মাখামাখির ধোঁয়া তুলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারকে ‘একঘরে’ করেছে সৌদি আরবসহ বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে কাতারের নাগরিকরা। দ্বন্দ্বের জল এতদূর গড়িয়েছে যে ছাড় পাচ্ছে না দেশটির নিরীহ পশুও। কাতারকে বিপাকে ফেলতে নতুন চাল হিসেবে সৌদি থেকে ১৫ হাজার কাতারি উট ও ভেড়া তাড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার!
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দ্য পেনিনসুলা নামে কাতারের একটি সংবাদমাধ্যম জানায়, সৌদি আরব থেকে সাত হাজার উট ও পাঁচ হাজার ভেড়া কাতারে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে আল-রায়া নামে দেশটির আরেকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে গৃহপালিত পশুর প্রকৃত সংখ্যাটি হবে ২৫ হাজার।
কাতারে গৃহপালিত পশুর মধ্যে প্রধান হচ্ছে উট। দৌড় প্রতিযোগিতা, মাংস ও দুধের জন্য দেশটিতে প্রায় ২২ হাজার উট পালন করা হয়। তবে ছোট্ট দেশ কাতার স্থানসংকুলান না করতে পেরে প্রতিবেশী দেশ সৌদিতে চারণভূমি ভাড়া নিয়ে গৃহপালিত পশু পালন করত তারা। সম্পর্ক ভাঙার পর এখন কাতারকে এ সুযোগ দিতেও নারাজ সৌদি।
সৌদির চারণভূমিতে উট পালন করেন আলী মাগারেহ (৪০)। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে তিনি বলেন, ‘আমরা সৌদি আরবে গিয়ে আমাদের উট দেখাশোনা করি, আর দেশে ফিরে পরিবারের সঙ্গে থাকি। রাজনৈতিক বিষয়ে জড়ানোর আমাদের কোনো ইচ্ছে নেই। আমরা আসলেই সুখে নেই।’
এদিকে প্রতিবেশীদের নেওয়া বিভিন্ন সিদ্ধান্তে বেশ সমস্যায় পড়েছে কাতার। দেশটির শতকরা ৮০ শতাংশ খাবার আমদানি নির্ভর। কিন্তু প্রতিদেশীদের সঙ্গে স্থল ও আকাশপথে যোগাযোগ বন্ধের পর বন্ধ হয়েছে আমদানি। এতে খাবারশূন্য হয়ে পড়েছে কাতারের বাজারগুলো। এভাবে বিশ্বনেতাদের ‘মাথাব্যাথার’ ভাগ অনিচ্ছাস্বত্ত্বের নিতে হচ্ছে দেশটির জনগণকে।